|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া, সোনারপুর |
রাজা এসসি মল্লিক রোড |
থমকে সম্প্রসারণ |
দেবাশিস দাস |
বেশ কিছুটা সময় পেরিয়েছে। তবু থমকেই রয়েছে গড়িয়া, সোনারপুর, রাজপুর, বারুইপুর এলাকার অন্যতম প্রবেশপথ রাজা সুবোধচন্দ্র মল্লিক রোড সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া। গড়িয়া মোড় থেকে যাদবপুর থানা পর্যন্ত বিস্তৃত এই রাস্তা সম্প্রসারণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বছর পাঁচেক আগে। শহরের অন্যতম ব্যস্ত এই রাস্তায় শুধু রামগড় এবং গাঙ্গুলিবাগান এলাকার কিছু অংশ সম্প্রসারিত হয়েছে। বাকি অন্যান্য অংশে কাজ আর এগোয়নি বলে এলাকার বাসিন্দারা জানান।
কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর বরো সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তাটি পূর্ত দফতরের আওতাভুক্ত। রাস্তার দু’পাশে যে দখলদারি রয়েছে, তা মুক্ত করার প্রক্রিয়া কার্যত থমকে রয়েছে। এই রাস্তা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে রাস্তার দু’পাশের দখলদারি অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দখলদারি হঠিয়ে রাস্তা সম্প্রসারণ করা আদৌ সম্ভব হবে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে সংশ্লিষ্ট বরোর আধিকারিকদের। |
|
১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তৃণমূলের তপন দাশগুপ্ত অবশ্য এই সমস্যার কথা স্বীকার করতে চাননি। তিনি বলেন, “রাজা এসসি মল্লিক রোড সম্প্রসারণের বিষয়টি দেখভাল করার কথা পূর্ত দফতরের। তাই এই বিষয়ে সবিস্তার খোঁজ না নিয়ে কিছু বলতে পারছি না।”
পূর্ত দফতরের বারুইপুর সাব ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজা এসসি মল্লিক রোডের দু’পাশে দখলদারির সমস্যা এলাকা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন। তাই এই রাস্তার আংশিক যে সম্প্রসারণ হয়েছিল, তা কোথাও সমান ভাবে করা যায়নি। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তা সম্প্রসারণের কথা বলা হলেও সামান্য কিছু কাজ হওয়ার পরে তা আর এগোয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা রাই সেনের কথায়: “সারা দিন এই রাস্তা দিয়ে অসংখ্য গাড়ি চলে। রাস্তার দু’পাশের দখলদারির জন্য ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।”
|
|
পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু দখলদারি নয়, আর্থিক সমস্যার জন্যও আটকে রয়েছে রাজা এসসি মল্লিক রোড সম্প্রসারণের কাজ। প্রথমে এই রাস্তার সম্প্রসারণ সংক্রান্ত পরিকল্পনা ব্যাকওয়ার্ড রিজিওনাল গ্রান্ট ফান্ডে (বিআরজিএফ) পাঠানো হয়েছিল। তখন তা অনুমোদন পায়নি। এর পরে সেই প্রস্তাবটিকে রাজ্য পূর্ত দফতরের বাৎসরিক পরিকল্পনার আওতায় আনা হয়। সেই বরাদ্দ অর্থেই প্রাথমিক পর্যায়ে সম্প্রসারণের কিছু কাজ হয়েছিল।
কিন্তু আবার কবে শুরু হবে ওই কাজ?
রাজ্য পূর্ত দফতরের বারুইপুর সাব ডিভিশনের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার রঞ্জন কুমার বলেন, “এই রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য পূর্ত দফতরের বাৎসরিক পরিকল্পনায় কিছু বরাদ্দ টাকা এসেছে। তা দিয়ে আবার রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে।”
|
ছবি: সুব্রত রায় |
|
|
|
|
|