|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা |
অমিল যান |
বিড়ম্বনার যাত্রা |
দেবাশিস দাস |
সন্ধ্যা হলেই এ পথে যান চলাচল কমে যায়। ফলে তারাতলা থেকে নিত্যযাত্রীদের ম্যাটাডর, লরি, এমনকী তেলের ট্যাঙ্কারেও যাতায়াত করতে হয়। খরচ হয় বেশি। এমনই অভিযোগ মহেশতলা, বাটানগর, বজবজ, বিড়লাপুর, চড়িয়াল, ডাকঘর, পূজালি, অছিপুর এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, প্রতি দিন সন্ধ্যার পরে তারাতলা থেকে বাড়ি ফেরাটা বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় দ্বিগুণ খরচ দিয়েও গাড়ি পাওয়া যায় না।
বাসিন্দা এবং নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, এমনিতেই তারাতলা এলাকায় যানবাহনের সংখ্যা কম। সন্ধ্যা হলে আরও কমে যায়। অথচ প্রতি দিন মহেশতলা, বাটানগর, বজবজ, বিড়লাপুর, চড়িয়াল, ডাকঘর, পূজালি, আছিপুর এলাকার বাসিন্দা তারাতলা মোড় দিয়েই কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় যান। কিন্তু সন্ধ্যার পরে অবস্থা আরও করুণ হয়ে ওঠে। সরকারি এবং বেসরকারি বাস খুব কমে যায়। |
|
দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষার পরে দু’-একটি বাস মিললেও তাতে খুব ভিড় হয়। তখন বাধ্য হয়ে বিকল্প রাস্তা খুঁজতে হয়। যদিও রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “বেহালা এবং সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন রুটে যানবাহনের এই সমস্যা আমাদের নজরে এসেছে। এই সব রুটে আমরা ছোট বাস চালানোর কথা ভাবছি।”
বাসিন্দা রমেন সর্দারের কথায়: “বাস না মিললে অনেক সময় বেশি খরচ দিয়ে ম্যাটাডর বা ট্রেকার ভাড়া করে যেতে হয়। অনেকে আবার তেলের ট্যাঙ্কারের কেবিনে উঠে পড়েন। এর পরেও অনেকটা হেঁটে বাড়িতে যেতে হয়।” কিন্তু, এর সমাধান যে দূর অস্ত্, তা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের এক কর্তার কথা থেকেই স্পষ্ট। তিনি বলেন, “আমরা এলাকার বিভিন্ন রুটে গাড়ি চলাচলের অনুমতি দিই। কিন্তু কোন গাড়ি কত ক্ষণ চলবে তা আমাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। ফলে আমাদের কিছু করার নেই।” |
|
বিশেষ সমস্যায় পড়েন মহিলা যাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, ভিড়ের জন্য বাসে ওঠা যায় না। নিরাপত্তার কারণে ম্যাটাডর বা ট্রেকারে তাঁরা যাতায়াত করতে পারেন না। ফলে তাঁদের অটো কিংবা ট্যাক্সিতে যাতায়াত করতে হয়। সেগুলিও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও অনেক বেশি ভাড়া দিতে হয়। এই পথেই নিয়মিত যাতায়াত করেন চড়িয়ালের বাসিন্দা মালা শিকদার। তাঁর কথায়: “অনেক সময় পয়সা বেশি দিয়েও গাড়ি পাই না। শীত আর বর্ষায় পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়। ঠিক সময়ে বাড়ি ফেরার জন্য নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিস থেকে বেরোতে হয়।”
|
ছবি: অরুণ লোধ |
|
|
|
|
|