|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা |
বাড়ছে কদর |
অস্ত্রহীন অস্ত্র |
সত্যজিৎ চক্রবর্তী |
দিল্লি আর নিরাপদ নয় মেয়েদের জন্য। সে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এ শহরেও। আর তাই কদর বাড়ছে কারাটের। রাজ্য কারাটে প্রতিযোগিতায় উপস্থিত প্রতিযোগী থেকে অভিভাবক প্রায় সকলেই মানছেন আত্মরক্ষায় কারাটের উপযোগিতা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কারাটে অ্যাসোসিয়েশনের
পরিচালনায় সম্প্রতি বারাসতের যুবক সঙ্ঘের কারাটে ময়দানে আয়োজিত দু’দিনের ‘২১তম রাজ্য কারাটে প্রতিযোগিতা’য় ধরা পড়ল কদরের ছবিটা।
ওই প্রতিযোগিতায় ৬ থেকে ২১ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেমেয়েরা বয়সের ভিত্তিতে সাতটি পর্বে অংশগ্রহণ করে। |
|
সাধারণ পর্যায়ে ব্যক্তিগত ও দলগত ভাবে ৩০টি দলের প্রতিযোগীরা কারাটের কাতা ও কুমিতে বিভাগে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশের জাতীয় কারাটে দলকেও আমন্ত্রণ করে আনা হয়েছিল। তাঁরা কুমিতে প্রতিযোগিতায় দলগত বিভাগে বিজয়ী হন। কাতা প্রতিযোগিতায় দলগত ভাবে বিজয়ী হয় পশ্চিমবঙ্গ। প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্যের প্রতিনিধি দলও আমন্ত্রিত ছিলেন। সব মিলিয়ে ৩১৪ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে ছিলেন ৯৩ জন মহিলা।
ওই প্রতিযোগিতায় দলগত বিভাগে অংশ নেয় ইতিমধ্যেই জাতীয় ও আন্তজার্তিক খেতাবজয়ী বারো বছরের সুস্মিতা দাস। তার কথায়: “চার দিকের যা পরিস্থিতি, তাতে মেয়েদের আত্মরক্ষার জন্য আরও বেশি করে কারাটে শেখা উচিত।” এক অভিভাবক জলি সাহা জানান, কলকাতা থেকে দিল্লি সর্বত্রই মেয়েদের নিরাপত্তা কার্যত শিকেয় উঠেছে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই মেয়েদের কারাটে শেখা উচিত, যাতে মেয়েরা নিজেরাই নিজেদের বাঁচাতে পারে।
|
|
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বারাসতের বিধায়ক তৃণমূলের চিরঞ্জিত চক্রবর্তীও বলেন, “অদূর ভবিষ্যতে এমন একটা দিন আসবে যখন আত্মরক্ষার কৌশল শেখার জন্য সকলেই কারাটে শিখতে হাজির হবেন।” বাংলাদেশ জাতীয় কারাটে দলের অধিনায়ক আজতক আহাদ খান জানান, বাংলাদেশে উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে এই ধরনের প্রতিযোগিতা তেমন হয় না। তবে এখান থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। তাই এই ধরনের খেলাকে
জনপ্রিয় করার জন্য রাষ্ট্রের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
উত্তর চব্বিশ পরগনা কারাটে অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুভাষ মিত্রের কথায়: “জনসচেতনতার অভাবে অন্য খেলার মত কারাটে জনপ্রিয় হয়নি। শিক্ষার্থীদের উৎসাহের জন্যই গত ২১ বছর ধরে উত্তর চব্বিশ পরগনায় এই প্রতিযোগিতা হয়ে আসছে। শারীরিক কসরতের পাশাপাশি রক্ষকের ভূমিকা পালনেও এই খেলার উপযোগিতা অসীম।”
|
ছবি: সুদীপ ঘোষ |
|
|
|
|
|