আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলে শিবাজির
হার, আজ পঞ্জাবের মুখোমুখি জেলা
দ্বিতীয় লিগ ম্যাচেও সহজ জয় পেল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আগের দিনের সাবলীল ফুটবল এ দিন দেখা গেল না। আজ, শনিবার লড়াই আরও শক্ত হওয়ার সম্ভাবনা।
সর্বভারতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল প্রতিযোগিতার পুল ডি-র এই ম্যাচে বর্ধমান প্রথম গোল পায় পেনাল্টি থেকে। সেন্টার হাফ রাজেশ ব্যাপারির মাটি ঘেঁষা শটে। পরের গোল সেন্টার থেকে অনিল কিস্কুর করা হেডে। এই নিয়ে প্রতিযোগিতায় ১১ গোল হয়ে গেল ঝাড়খণ্ডের এই লেফট উইংগারের। তবে বর্ধমানের গোলকিপার তথা অধিনায়ক চিরদীপ চট্টোপাধ্যায় রুখে না দাঁড়ালে এ দিন জয় সহজ হত না।
পশ্চিমাঞ্চলের খেলায় চতুর্থ স্থান পাওয়া শিবাজি যে এ দিন মোহনবাগান মাঠে বর্ধমানের বিরুদ্ধে তত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে না, তা অনেকটা জানাই ছিল। কিন্তু এ দিন ৪-৪-২ ছকে খেলা বর্ধমানের মাঝমাঠ ও ডিফেন্সের অকৃতকার্যতায় খেলার রাশ অনেকটাই নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আসে তারা। তবে বর্ধমানের আক্রমণভাগ যথারীতি সচল ছিল। তাই গোলও এসেছে।
আক্রমণের মুহূর্তে। শুক্রবার উদিত সিংহের তোলা ছবি।
ও দিকে, পাতিয়ালার পঞ্জাবী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে শ্রীরামস্বামী মেমোরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়কে ১-০ গোলে হারিয়ে এসেছে। বর্ধমান দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রথীন ভট্টাচার্য বলেন, “পঞ্জাবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা আমার ফুটবলারদের চেয়ে আয়তনে প্রায় দ্বিগুণ। ওদের সঙ্গে আমরা পাওয়ার ফুটবল খেলতে পারব না। স্কিলে হারাতে হবে।” এই ম্যাচ ড্র করলেই বর্ধমান শেষ আটে উঠে যাবে। কাজেই তারা বেশি ঝুঁকি নিতে চাইবে না, সেটাই স্বাভাবিক।
বৃহস্পতিবার মুম্বইকে হারানোর পরে এ দিন কলকাতা গোলশূন্য ড্র করে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। দু’পক্ষই ব্যাপক লড়াই দিয়েছে। কলকাতা শুরুর ১০ মিনিট তেড়েফুঁড়ে খেলার পরেই মাদ্রাজ ম্যাচের দখল নিয়ে নেয়। অতিরিক্ত ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ ফুটবল খেলতে গিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার জন হলুদ কার্ড দেখেন। বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করে ও তার পরে হলুদ কার্ড দেখে রেফারির সঙ্গে তর্কযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন তাদের স্ট্রাইকার শোছেরিং লেপচা। পরিণতি লালকার্ড। ফলে পরের দু’টি ম্যাচে লেপচার মত নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকারকে ছাড়াই নামতে হবে কলকাতাকে।
এ দিন ম্যাচের পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কলকাতার কোচ তথা প্রাক্তন ফুটবল তারকা গৌরাঙ্গ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, “প্রথম থেকেই বর্ধমানে এসে আমাদের হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে। ঘনঘন বাসস্থান বদলাতে হচ্ছে। এক মাঠে খেলা শুনে গিয়ে দেখছি, অন্য মাঠে খেলা। রেফারিও আমাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামছেন। এ দিনের ম্যাচে যাকে রেফারি করা হয়েছিল, কলকাতার রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের অনুমতি ছাড়াই তাঁকে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, রেফারি অন্যায় ভাবে লাল কার্ড দেখিয়েছেন লেপচাকে। রেফারি প্রদীপ দাস অবশ্য বলেন, “সঙ্গত কারণেই লালকার্ড দেখানো হয়েছে। কলকাতার ফুটবলার বলে মাঠে মার খাব নাকি!”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.