কল্যাণীতে ডেম্পোর হারে ইউনাইটেড কোচ এলকো সাতৌরি যত না উচ্ছ্বসিত, তার চেয়েও কি বেশি চাপমুক্ত ট্রেভর জেমস মর্গ্যান? শুক্রবার রাতে গোয়া থেকে লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচ বললেন, “সেমি-চাপমুক্ত বলতে পারেন। ডেম্পো হারলেও চার্চিল তো জিতে গেল।”
আই লিগ থেকে মোহনবাগানের নির্বাসনের পরে মর্গ্যানের লিগ জয়ের স্বপ্ন আরও জটিল হয়ে পড়েছে। একটা দল কমে যাওয়ায় একে তো তেরোটা দলের বিরুদ্ধে লড়তে হবে, তার ওপর এ বারের আই লিগ টেবিল থেকে মোহনবাগানের অস্তিত্ব মুছে যাওয়ায়, জিতেও তিন পয়েন্ট হাতছাড়া হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। সব মিলিয়ে এখন যা পরিস্থিতি, তাতে চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে পরের দু’টো বাইরের ম্যাচ (পরের ম্যাচ দিল্লিতে ও এন জি সি-র সঙ্গে) জিততেই হবে ইস্টবেঙ্গলকে। সতর্ক লাল-হলুদ কোচ মারগাও থেকে ফোনে বলছিলেন, “গত এক মাসে পরিস্থিতি একেবারে বদলে গিয়েছে। পরের ম্যাচগুলোতে জিততে না পারলে এ বারও আই লিগ ফসকে যেতে পারে। সালগাওকর আর ওএনজিসি ম্যাচ থেকে ছ’পয়েন্টই লক্ষ্য আমাদের। না হলে চার পয়েন্ট তো তুলতেই হবে।”
শনিবার সালগাওকর ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে ইস্টবেঙ্গলকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে পৈলান ম্যাচ জেতার আত্মবিশ্বাস, সঞ্জুর পুনর্জন্ম এবং ওপারার প্রত্যাবর্তন। পৈলান ম্যাচে পাহাড়ি বিছের দু’টো দুর্দান্ত গোল ভোলেননি অনেকেই। আর ওপারা? দু’ম্যাচ সাসপেনশন কাটিয়ে ফের দলের রক্ষণ সামলাতে তৈরি। তবে সব আলোর মধ্যে কি অন্ধকার নেই? আছে। শুক্রবার অনুশীলনের পরে হোটেলে ফেরার পথে ভাঙা কাচের বোতলে বাঁ পায়ের গোড়ালি কেটেছে হরমনজিৎ সিংহ খাবরা। ডার্বি ম্যাচে তাঁর দুর্দান্ত গোল দাম পাইনি বলে এমনিতে মনমরা পঞ্জাবের ছেলেটি। তায় এই চোট। দু’টো সেলাই পড়েছে। যা অবস্থা, সালগাওকর ম্যাচ তো বটেই, ওএনজিসি ম্যাচেও পাওয়া যাবে না খাবরাকে। দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ফুটবলারের চোটে কিছুটা হলেও তাই সমস্যায় ইস্টবেঙ্গল।
ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে সামান্য চোট সঞ্জুরও। যদিও ইস্টবেঙ্গল কোচ বলছিলেন, “চোট গুরুতর নয়। আশা করছি সঞ্জুকে ম্যাচে পাওয়া যাবে।” এখনও পর্যন্ত যা ঠিক হয়েছে, তাতে শনিবারের ম্যাচে দুই স্টপার থাকছেন ওপারা-অর্ণব। দুই সাইড ব্যাক রাজু ও রবার্ট। মাঝমাঠে পেন-মেহতাবের দু’পাশে ইসফাক এবং লালরিন্দিকা (সঞ্জু না খেলতে পারলে)। ফরোয়ার্ডে চিডি-রবিন জুটি। গোলে অভিজিৎ।
এ দিকে, ঘরের মাঠে জিততে মরিয়া ডেভিড বুথের দল। এয়ার ইন্ডিয়াকে ৪-০ গোলে হারানোর পরে ইস্টবেঙ্গলকেও বড় ধাক্কা দিতে চাইছে সালগাওকর। দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পিটার ভালেস বললেন, “ইস্টবেঙ্গলকে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কলকাতায় একটা আত্মঘাতী গোলে হেরেছিলাম। আমি মনে করি ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে আমরা কোনও অংশে কম নই। আশা করছি, তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারব।” |