চূড়ান্ত প্রশাসনিক তৎপরতার মধ্যেই শুক্রবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলের মাঠে হাজির হবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরকে ঘিরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে নির্বিঘ্ন ও ত্রুটিমুক্ত করতে সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সকালে মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠান মঞ্চে হাজির হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গেই শুরু হবে উদ্বোধনী সঙ্গীত। তারপরেই থাকবে স্কুল ছাত্রীদের সাইকেল র্যালি। এরপর নবনিযুক্ত এনভিএফ, হোম গার্ড ও জুনিয়ার কনস্টেবলদের প্যারাড দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিচয় করবেন ফুটবল খেলোয়াড়দের সঙ্গে। এর সঙ্গেই কয়েকটি ফুটবল দলের হাতে ২৫ হাজার টাকার চেকও তুলে দেবেন তিনি। এ দিনই আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের হাতে নিয়োগের শংসাপত্র তুলে দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। মাওবাদী হামলায় নিহতদের ২৩টি পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের অর্থও তুলে দেবেন বলে জানা গিয়েছে। |
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার যে দু’জন মাওবাদীর আত্মসমর্পণ করার কথা তাঁরা হলেন, নয়াগ্রামের কিশোর হেমব্রম ও লালগড়ের ভীম বাস্কে। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার পরেই শেষ হবে অনুষ্ঠান। এ দিনই পুনর্গঠিত ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়াম ও মেদিনীপুর শহরের পদ্মাবতী শ্মশানের ইলেকট্রিক চুল্লির উদ্বোধন করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু দু’টিই শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরে কোনও প্রশাসনিক বৈঠক নেই। তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় দলীয় বিধায়ক ও নেতাদের নিয়ে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে একটি বৈঠক করেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে ১৫ জনের একটি ‘টাস্ক ফোর্স’ গঠন হয় বৈঠকে। খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার অজিত মাইতি, সবংয়ের অমূল্য মাইতির মতো নেতারা রয়েছেন ওই দলে। এ ছাড়াও ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতৃত্বেও সামান্য রদবদল করেন দলনেত্রী। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি ছিলেন লোকেশ কর। তাঁকে সরিয়ে রমাপ্রসাদ গিরিকে জেলা সভাপতি করা হয়েছে। জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে বসানো হয়েছে লোকেশকে। |
আজকের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাজির থাকার কথা মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারী, শান্তিরাম মাহাতো, শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়, পশ্চিম মেদিনীপুরের সমস্ত তৃণমূল বিধায়ক ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদার। ঘোষকের ভূমিকায় দেখা যাবে ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষকে। দুপুর ২টোর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। পরে ওই মঞ্চেই মঞ্চস্থ হবে নেপাল মাহাতোর ছৌ নৃত্য ও যাত্রাপালা ‘পরিবর্তনের পর’। |