বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের জমির উপর বিদ্যুৎপোস্ট স্থানান্তরিত না হওয়ায় গাদিয়াড়া বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ থমকে গিয়েছে। ফলে জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের আসা বাস, ট্যাক্সি, মিনিবাস, ম্যাটাডর, ট্রেকার ইত্যাদি ছাড়াও রুটের বাস রাস্তার উপর রাখার ফলে এলাকার মানুষ ও পর্যটকদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে অধিক পিকনিক পার্টি ও পর্যটকদের ভিড়ের ফলে সমস্যা আরও প্রবল।
হাওড়া শ্যামপুর ১ ব্লকের বাণেশ্বরপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে গাদিয়াড়া বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ শুরু হয় ২০০৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ। শ্যামপুর-গাদিয়াড়া রোডের পাশে ১৬০০ স্কোয়্যার মিটার পূর্ত দফতরের জায়গায় বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের জন্য মাটি ফেলার ও ড্রেন তৈরির প্রথম দফার কাজ শেষ হয়েছে দীর্ঘ দিন আগেই। বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের জায়গায় ৮টি দোকানের পুনর্বাসনের কাজও হয়ে গিয়েছে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসের ছুটির দিন ও উৎসবের দিনগুলিতে গাদিয়াড়ায় ভিড় বাড়ে। সেই সঙ্গে রুটের বাস ছাড়াও অটোরিকশা, ভ্যানরিকশা, ট্রেকার, ম্যাজিক গাড়ি এবং পর্যটকদের আসার গাড়ির চাপে যানজট হওয়া বিরল নয়। |
বাণেশ্বরপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মঞ্জু অধিকারী বলেন, “বাসস্ট্যান্ডের জায়গায় ৮ জন দোকানদারকে পুনর্বাসনের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। এই সমস্ত টাকা জেলা পরিষদ থেকে দেওয়া হয়েছে। দোকানদারদের পুনর্বাসনের কাজ শেষ হলেও মূল সমস্যা এখন বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের জায়গায় চারটি বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর কাজ এবং পূর্ত দফতরের জমির ক্লিয়ারেন্স পেলেই বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের কাজ শুরু হবে। আমরা বিদ্যুৎ দফতরে বারবার জানালেও বিদ্যুৎপোস্ট এখনও সরানো হয়নি।” বাণেশ্বরপুর ২ পঞ্চায়েতের প্রধান দীপেন্দু পাত্র বলেন, “১৬০০ স্কোয়্যার মিটার জমিতে মাটি ফেলার জন্য ৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানান, বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে ওই খুঁটি সরানোর জন্য ৪০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে। শ্যামপুর ১ ব্লকের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ অসীম দাসের বক্তব্য, বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের জায়গায় বিদ্যুৎপোস্ট সরানোর জন্য বার বার বিদ্যুৎ দফতরে জানিয়েও এখনও পোস্ট সরানো হয়নি। ফলে বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ ব্যাহত হচ্ছে। কাজ যাতে দ্রুত শুরু করা যায় সে ব্যাপারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনন্দ চট্টোপাধ্যায়।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার উলুবেড়িয়ার ডিভিশনাল ম্যানেজার কিঙ্কর সাহা অবশ্য জানান, গাদিয়াড়ায় এই সমস্যার কথা তাঁদের কানেই তোলেনি কোনও পক্ষ। পাশাপাশি বিষয়টি জানালে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। |