|
|
|
|
অভিযুক্ত উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত |
টাকা নিয়ে ধর্ষণ-মামলা মিটিয়ে ফেলার প্রস্তাব
সংবাদসংস্থা • লখনউ |
এত ধর্না-প্রতিবাদ। ধর্ষণকারীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে এত আন্দোলন, এত মোমবাতি মিছিল। তবুও হুঁশ ফিরছে না খোদ জনপ্রতিনিধিদেরই।
হঁশ যে ফিরছে না, এ বার তার প্রমাণ রাখল উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের মৌলি গ্রাম পঞ্চায়েত। গ্রামেরই ১৩ বছরের নাবালিকাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশি এক যুবকের বিরুদ্ধে। নিগৃহীতার ভাই পুলিশের কাছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে গ্রাম পঞ্চায়েত। অভিযোগ, ৫০,০০০ টাকা নিয়ে নিগৃহীতার পরিবারকে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার ‘পরামর্শ’ দেয় তারা।
নাবালিকার অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রস্তাব দেয় বিষয়টি নিয়ে আর বেশি জল ঘোলা না করাই ভাল। অভিযুক্ত পরিবারের কাছ থেকে ৫০,০০০ টাকা নিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে নিতেও বলে তারা।
ঘটনাচক্রে নাবালিকার এই অভিযোগের কথা সামনে এল শুক্রবার, যে দিন ধর্ষণ নিয়ে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে দেশ জুড়ে। ভাগবত বলেছেন, “ভারতে নয়, ধর্ষণ হয় ইন্ডিয়ায়।” অর্থাৎ ধর্ষণের ঘটনা গ্রামে নয়, হয় শহরেই।
মৌলি গ্রামের এই ঘটনা শিরোনামে এনে দিয়েছে পাটিয়ালার গণধর্ষণের বিষয়টিও। সেখানে ১৮ বছরের তরুণীকে ধর্ষণ করেছিল দুই যুবক। অভিযুক্তর ধরা পড়লেও পুলিশ টাকা পয়সা নিয়ে বিষয়টিকে মিটিয়ে ফেলার জন্য চাপ দিতে থাকে মেয়েটিকে। এমনকী এক অভিযুক্তের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাবও দেওয়া হয়। এক মাসেও বিচার না পেয়ে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন তরুণী।
তাঁর আত্মহত্যা যে মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি, তা আবারও স্পষ্ট হয়ে গেল মৌলি গ্রামের ঘটনায়। কী হয়েছিল মৌলি গ্রামে? নিগৃহীতার অভিযোগ, গ্রামেরই এক যুবক তাকে বন্দুক দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। সেখানেই তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে ওই যুবক। গত ২৭ ডিসেম্বর অভিযুক্তের হাত থেকে কোন রকমে পালিয়ে আসে ওই নাবালিকা। অভিযোগ জানায় পুলিশের কাছে। স্থানীয় কুন্ডা থানার অফিসার সর্বেশ কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, “মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে পঞ্চায়েতের ভূমিকা নিয়ে। তার কী হবে? এর জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন সর্বেশ। |
|
|
|
|
|