|
|
|
|
ত্রিপুরা |
কংগ্রেস সমর্থকের উপর হামলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়নি এখনও। কিন্তু প্রচার পর্বে বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলির চাপান-উতোর চলছেই, পাশাপাশি ত্রিপুরায় বাড়ছে ‘রাজনৈতিক সন্ত্রাসের’ ঘটনাও। গত কাল সন্ধ্যার পর ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে খোয়াইয়ের সুবোধ ঘোষের উপর। পেশায় তিনি কৃষিজীবী। খোয়াইয়ের কংগ্রেস নেতা অভিজিৎ দত্তভৌমিক জানান, ‘‘সুবোধ ঘোষ কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী না হলেও, পরিবারের সবাই কংগ্রেস সমর্থক।’’ ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে সম্প্রতি জনসভায় জানানো হয়েছিল, ক্ষমতায় এলে বেকারদের ‘বেকার ভাতা’ দেওয়া হবে। সে জন্য প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে ছাপানো ‘ফর্ম’-ও রাজ্যে বিলি করা হচ্ছে। অভিজিৎবাবু জানান, আক্রান্ত সুবোধবাবুর অপরাধ, বেকার ভাতার ফর্ম নিয়ে তা স্থানীয় কংগ্রেস অফিসে জমা দিতে তিনি বেকারদের উৎসাহিত করছিলেন।
জখম ব্যক্তি খোয়াইয়ের সিংহিছড়ার কাঠালতলির বাসিন্দা। কাল রাতে এলাকার একটি মুদিখানা দোকানে সুবোধবাবু গিয়েছিলেন জিনিস কিনতে। তখন পিছন দিক থেকে দুষ্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মাথায় মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি পড়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে খোয়াই হাসপাতলে নিয়ে যান। পরে তাঁকে আগরতলায় সরকারি একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর অবস্থা এখনও সংকটজনক।
খোয়াই থানার পুলিশ জানায়, কালকের ঘটনার প্রেক্ষিতে সুবোধবাবুর স্ত্রী আজ খোয়াই থানায় উমেশ দাস, মিঠুন দাস, নিত্যানন্দ নমশূদ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এঁরা প্রত্যেকেই শাসক দলের কর্মী বলে দাবি খোয়াই ব্লক কংগ্রেস নেতা প্রণব বিশ্বাসের। অভিযোগকারীর পরিবারের উপর নতুন করে হামলার হুমকি আসছে বলেও তাঁর অভিযোগ। এ দিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় আজ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, খোয়াইয়ে শাসক দলের কর্মীরা কংগ্রেসের সমর্থক ও কর্মীদের উপরে ‘রাজনৈতিক সন্ত্রাস’ চালাচ্ছে।
এ দিকে, কাল রাতে তেলিয়ামুড়ার ধনচাকমা এলাকায় একটি এডিসি ভিলেজে কয়েক জন দুষ্কৃতীর আক্রমণে রুমিংথাং রাংখল নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। নিহতের শরীরে ধারলো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ব্যক্তির বাবা রাণা রাংখল এডিসি ভিলেজ কমিটির প্রাক্তন কংগ্রেস সদস্য ছিলেন। |
|
|
|
|
|