|
|
|
|
মেয়েকে বাঁচাতে মা খুনের ঘটনায় ধৃত ৩
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা এবং বাধা দেওয়ায় মাকে খুনের ঘটনায় মোট তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রঞ্জু খান নামে এক অভিযুক্ত কাল পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। রাতে গ্রেফতার করা হয় সাহারুল হক ওরফে আজরাইল হোসেনকে। যে-গাড়ি নিয়ে দুষ্কৃতীরা অপহরণ করতে এসেছিল, সেই গাড়ির চালক নাজমুল হোসেন লস্কর অবশ্য ঘটনার পরই স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়ে। পুলিশের দাবি, আরও দু’জন এখনও পলাতক। তাদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।
দুষ্কৃতীদের হাত থেকে মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে মঙ্গলবার রাতে দায়ের কোপে নিহত হন কাছাড় জেলার পালংঘাটের সুনীতি দাস। মাথায় দায়ের কোপ নিয়েও তিনি দুষ্কৃতীদের রুখতে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। দুষ্কৃতীরা তখন তাঁকে পিষে দিয়েই গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। পরে এলাকাবাসীকে ছুটে আসতে দেখে তারা মেয়েটিকে গাড়িতে রেখেই পালিয়ে যায়। গভীর রাতে মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় সুনীতি দাসের। আজ ছিল তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। ফলে এলাকা জুড়ে এক দিকে ছিল শোকের আবহ, অন্য দিকে চড়া উত্তেজনা। পালংঘাট স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা আজ মিছিল বের করে। এলাকার মহিলা এবং যুবকরাও এতে সামিল হয়। গোটা এলাকা ঘুরে তারা পালংঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ, মধুসূদন সিংহের কাছে স্মারকপত্র দেয়। দাবি করে, অবিলম্বে অভিযুক্ত অন্য দু’জনকে গ্রেফতার করতে হবে। দোষীদের কঠোর সাজার জন্য ঠিকঠাক তদন্ত করে দ্রুত চার্জশিট প্রদানেরও দাবি করে তারা।
এ দিকে শোকাহত পিতা ও কন্যার সঙ্গে আজ দেখা করেন আবগারি এবং ক্রীড়া-যুবকল্যাণ মন্ত্রী অজিত সিংহ। তিনি জানান, মৃত্যুর কোনও ক্ষতিপূরণ হয় না। দোষীদের শাস্তির ব্যাপারে আশ্বাস দেন তিনি। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ এই মামলায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। |
|
|
|
|
|