জোড়াসাঁকোর এক ফল ব্যবসায়ীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। বছরের প্রথম দিন থেকে নিখোঁজ সোহেল আখতার নামে ওই যুবকের সন্ধান মেলেনি তিন দিনেও। সোহেলের পরিবারের তরফে প্রথমে জোড়াসাঁকো থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার তাঁর দাদা অপরিচিত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভাইকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছেন নতুন করে। ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও অন্ধকারে পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার পরের দিন থেকে সোহেলের মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে,
|
সোহেল আখতার |
মুক্তিপণ চেয়ে শুক্রবার রাত পর্যন্ত কোনও ফোন যায়নি ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের কাছে।
পুলিশ জানায়, ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ জোড়াসাঁকোর ফলমান্ডির বাল মুকুন্দ মক্কর রোডের দোকান থেকে বেরোন সোহেল আখতার। তার পর থেকেই কোনও খোঁজ নেই ওই যুবকের। তাঁর দাদা সরফরাজ আখতার এ দিন জানান, পরের দিন অর্থাত্, বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সোহেলের ফোনটি চালু ছিল। তার পর থেকে ফোন করলে ‘নট রিচেব্ল’ বলা হচ্ছে। বুধবার চার বার ফোন করা হয়েছিল সোহেলের মোবাইল ফোনে। সোহেলের আর এক দাদা ইফরান আনসারির দাবি, ওই দিন এক জন ফোনটি ধরে বলেছেন, ‘আপ কৌন? কিসকো চাহিয়ে?’ তার পর থেকে ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে নিখোঁজের মামলায় গুরুত্ব দেয়নি।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু হয়েছে। কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (মধ্য) দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ বলেন, “পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবসায়ী নিখোঁজ মামলায় অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।” এ দিন থেকেই ব্যবসায়ী নিখোঁজ রহস্যের তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের গুণ্ডা-দমন শাখার অফিসারেরা। নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান জেনে নিয়ে তদন্তের চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কারও কোনও বিরোধ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও ধরনের বিরোধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের দাবি, সোহেলের সঙ্গে কারও কোনও বিরোধের কথা তাঁদের জানা ছিল না। এমনকী, নিখোঁজের আগে কোনও অস্বাভাবিকতাও তাঁদের নজরে আসেনি বলে পুলিশকে ব্যবসায়ীর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। |