চাঁচলে ফের ডিপো চালুর সিদ্ধান্ত নিল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের চিঠি পেয়ে বুধবার মালদহ থেকে চাঁচল ডিপোতে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩৮ জন কর্মী। গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিপো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশির আবহ তৈরি হয় চাঁচল জুড়ে। ডিপো ফেরানোর দাবিতে আন্দোলনকারী নাগরিক মঞ্চের তরফে লাড্ডু বিতরণ করে আতসবাজি পুড়িয়ে উৎসব পালিত হয়।
এ দিন কর্মীরা চাঁচল ডিপোয় কাজে যোগ দেওয়ার পর কর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন রায়গঞ্জের ডিভিশনাল ম্যানেজার সুবীর সাহা। নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সি মুরুগন বলেন, “চাঁচল ডিপো চালু হচ্ছে। ৯টি রুটে বাস চলবে। পরে রুট বাড়ানো হবে।” এনবিএসটিসি সূত্রের খবর, সংস্থার আর্থিক অবস্থার কথা বলে কর্তৃপক্ষ গত বছরের গোড়ায় চাঁচল ডিপোটি বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেন। ডিপোর কর্মীদের মালদহে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে অরাজনৈতিক মঞ্চ গড়ে চাঁচল ডিপো রক্ষার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। সেই সময়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে ওই ডিপোর সব কর্মী মালদহে কাজে যোগ দেন। |
ডিপো ফেরানোর দাবিতে লাড্ডু বিতরণ। —নিজস্ব চিত্র। |
দলমতনির্বিশেষে আন্দোলনে সামিল হন কংগ্রেস বিধায়ক আসিফ মেহবুব, মালতিপুরের আরএসপি বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সি। বিধানসভায় সরব হন হরিশ্চন্দ্রপুরের ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক তজমুল হোসেন। ডিপো না তোলার আবেদন পরিবহণমন্ত্রীকেও জানান উত্তর মালদহের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম নুর। আন্দোলনকারীদের পক্ষে কংগ্রেস নেতা দেবব্রত ভোজ, বাম নেতা মনওয়ারুল আলম বলেন, “সর্বস্তরের মানুষ পাশে দাঁড়ানোয় আন্দোলন সফল। কয়েকটি পুরনো রুট ছাড়া নতুন কিছু রুটে বাস চালানোর দাবি ডিভিশনাল ম্যানেজারকে জানানো হয়।”
সাংসদ মৌসম বেনজির নুর বলেন, “এলাকার মানুষের আবেগের কথা জানিয়েই ডিপো না তুলে নেওয়ার জন্য পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলাম। ডিপো ফেরায় ভাল লাগছে।” এ দিন ডিপোয় হাজির হয়ে বিধায়ক রহিম বক্সি বলেন, “সবার মিলিত আন্দোলনের জেরেই কর্তৃপক্ষ ডিপো ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে বাধ্য হয়েছে।” |