গ্রন্থাগারের পাঠক হবেন কেবল মহিলারা। গ্রন্থাগারিক থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী সকলেই হবেন মহিলা। বস্তুত, গ্রন্থাগার পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব থাকবে মহিলাদের হাতেই। রাজ্যে এ ধরনের মহিলা গ্রন্থাগার চালু করতে উদ্যোগী রাজ্যের জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার দফতর। এর আগে রাজ্যে মহিলা থানার উদ্বোধন করেছেন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। এবার মহিলাদের জন্য গ্রন্থাগার চালুর জন্য সচেষ্ট দফতরের মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, এই রাজ্যে প্রথম পর্যায়ে ৫০টি মহিলা গ্রন্থাগার তৈরি করা হবে। ১৯ টি জেলা শহরের প্রতিটিতে একটি করে গ্রন্থাগার হবে। তা ছাড়া ১৫টি হবে মহকুমা শহরের জন্য। ১৬টি হবে গ্রামীণ এলাকায়। গ্রন্থাগার গুলিতে অত্যাধুনিক-সহ সব ব্যবস্থা থাকবে। গ্রন্থাগারগুলিতে পুরুষ পাঠক থাকার কারণে অনেক মেয়েরাই গ্রন্থাগারে যেতে চান না। সেই কারণে মহিলাদের কথা চিন্তা করেই রাজ্যে মহিলা গ্রন্থাগারগুলি করার কথা ভাবা হয়েছে। আর তাতে বিভিন্ন এলাকার মেয়েরা উপকৃত হবেন বলে মন্ত্রী আশাবাদী। এমনকী অনেক মেয়ের কর্মসংস্থান হবে বলে তিনি দাবি করেন। তবে ঠিক কবে থেকে ওই মহিলা গ্রন্থাগার এ রাজ্যে শুরু হবে দিনক্ষণ না বলতে পারলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই তাঁরা শুরু করতে চান। রাজ্যের জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে মহিলা থানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এবার আমরা মহিলা গ্রন্থাগার করছি।” মহিলারা যাতে পিছিয়ে না পড়েন সে কারণেই ওই উদ্যোগ। গ্রন্থাগারগুলিতে সাধারণ গল্পের বই থেকে পাঠ্যবই সব মিলবে। এমনকী বিভিন্ন প্রতিযোগীতার প্রস্তুতি নেওয়ার বইও পড়তে পারবেন উৎসাহীরা। কেবল মহিলা পাঠকরা থাকার সেখানে বসে নিশ্চন্তে তারা বই পড়তে পারবেন। ইসলামপুর মহকুমা গ্রন্থাগারকে অতিরিক্ত জেলা গ্রন্থাগারে উন্নীত করা হচ্ছে বলে মন্ত্রী এ দিন জানিয়েছেন। তাতে জেলা গ্রন্থাগারগুলির মত সব পরিকাঠামোই থাকবে। ইসলামপুরের শহরের ওই গ্রন্থাগারে প্রতিদিন বিকেলের পরেই পাঠকদের ভিড় দেখা যায় চোখে পড়ার মতো। জেলা গ্রন্থাগারের মত সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য অনেক সময়তেই পাঠকেরা দাবি জানান। |