নিজস্ব সংবাদদাতা • ধূপগুড়ি |
পুরসভায় অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ নিয়ে দলতন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। শহরকে জটমুক্ত করতে সম্প্রতি চারটি পার্কিং জোন তৈরি করে ধূপগুড়ি পুরসভা। পার্কিং ফি আদায় করতে ২৭ জন অস্থায়ী কর্মীও নিয়োগ করেছে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা। পার্কিং জোনের কারণে যানজট কমলেও অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের পদ্ধতি ও পার্কিং ফি’র হার নিয়ে সরব সিপিএম-সহ বিরোধীরা। পার্কিং জোনে যান রাখার নির্ধারিত ফি আদায় করতে অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ করার বিষয়ে বোর্ড মিটিঙে আলোচনা করা হয়নি। বিরোধী দলের কাউন্সিলার থেকে শুরু করে ক্ষমতায় থাকা দলে কাউন্সিলারকে না জানিয়ে ইচ্ছেমত নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্কিঙের জন্য নিয়োগ করা অস্থায়ী কর্মীদের মাসে ২৪০০ টাকা করে দেওয়া হয়। দলের কিছু কর্মীকে টাকা রোজগারের ব্যবস্থা করে দিতে তৃণমূল পরিচালিত পুর কতৃপক্ষ এই নিয়োগ করেছে বলে সিপিএমের অভিযোগ। পার্কিং ফি নিয়েও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দাদের মধ্যেও।
শহরে যানজট সমস্যা দূর করতে নো পার্কিং জোন করা হয়। পাশাপাশি যানবাহন রাখার জন্য পৃথক চারটি এলাকা চিহ্নিত করে দেয় পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, পার্কিং ফি হিসেবে মোটরবাইক বা স্কুটারের ক্ষেত্রে পাঁচ টাকা এবং সাইকেল রাখা হলে তিন টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের একাংশ। অভিযোগ, যানজট নিয়ন্ত্রণ করার নামে পুরসভা পার্কিং বসিয়ে ব্যবসা করছে। গ্রামের দরিদ্র মানুষ সাইকেল নিয়ে বা বাইক নিয়ে সামান্য কেনাকাটা করতে এলে তাদের বাধ্য হয়ে ফি দিতে হচ্ছে। গ্রাহক সংখ্যা কমেছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। পুরসভার বিরোধী দলনেতা বাদল সরকার বলেন, “বোর্ড অব কাউন্সিলের বৈঠক না ডেকে দলের লোক নিয়োগ করা হয়।” দলবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে পুরসভার চেয়ারম্যান শৈলেনচন্দ্র রায় বলেন, “পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কিছু দরিদ্র বেকার যুবকদের ওই কাজ দেওয়া হয়েছে। পার্কিং জোন থেকে আদায় করা টাকায় তাদের মাসিক সাম্মানিক দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।” |