যৌনপল্লির স্কুলটি চালু
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
চার বছর বন্ধ হয়ে থাকা আলিপুরদুয়ার শহরের যৌনপল্লির একটি স্কুল ফের চালু হল। বুধবার আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক ও বিধায়কের সামনে স্কুলটি চালু হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০০৪-এ আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সাহায্য নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা শিপ্রা পাল সিংহ স্কুলটি চালু করেন। ২০০৮ সালে স্কুলটি বন্ধ হয়। সম্প্রতি আনন্দবাজারে বন্ধ বিদ্যালয়ের খবর প্রকাশিত হয়। এর পরেই স্কুলটির দায়িত্ব নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ডুয়ার্স অ্যাকাডেমি অফ টেকনোলেজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট। স্কুল ফের চালু হওয়ায় খুশি শিপ্রা। আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক অমলকান্তি রায় বলেন, “স্কুলটি চালু করার জন্য বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে আসায় আমরা খুশি। সমস্ত কাজ সরকারি ভাবে সম্ভব হয় না। আগামী দিনে যাতে সরকারি ভাবে স্কুলটি স্বীকৃতি পায় সে ব্যাপারে চেষ্টা করব।” বয়স্কদের জন্য একটি কারিগরি শিক্ষার স্কুল যৌনপল্লিতে চালু করার চেষ্টা হচ্ছে বলে বিধায়ক জানান। বেসরকারি সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলটি প্রতিদিন ৩ টে থেকে ৫টা পর্যন্ত চলবে। প্রায় ৩০ জন শিশু স্কুলে পড়াশোনা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডুয়ার্স অ্যাকাডেমি অফ টেকনোলেজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের অধিকর্তা সুমিত ভট্টাচার্য বলেন, “আনন্দবাজার পত্রিকায় খবর পড়ে স্কুলটি বন্ধ হয়ে রয়েছে বলে জানতে পেরেছিলাম। এর পরেই স্কুলটি চালু করতে সাহায্য করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্কুলের ঘর-ভাড়া থেকে শিক্ষকদের আর্থিক সাহায্যসবই সংস্থার তরফ থেকে করা হবে।” আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “ঘর ভাড়া ও খাতা বইয়ের অভাবে স্কুলটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।” এ দিন অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেতা তথা আইনজীবী মৃদুল গোস্বামী ও আইনজীবী সোমশংকর দত্ত, প্রাক্তন কাউন্সিলর অশোক গঙ্গোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। |
হয়রানি বন্ধে সিপিএমের স্মারকলিপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করে পুলিশি হয়রানি বন্ধ করার দাবিতে বুধবার জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছে জেলা সিপিএম। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ বিধানসভা এলকার সিপিএম সমর্থকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ভুয়ো মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়েছে। এবং সেই মামলার কারণেই দলের কর্মী সমর্থকদের পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ সিপিএমের। গত ৩০ ডিসেম্বরও রাজগঞ্জের ভাঙামালির পার্টি অফিসে আগুন জালিয়ে দলের সমর্থকদের মারধর করে উল্টে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সিপিএমের দাবি পুলিশের সামনেই সেদিনের ঘটলেও পুলিশ নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করেছে। সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন সাংসদ মিনতি সেন বলেন, “পুলিশ প্রশাসনকে পাশে নিয়ে সন্ত্রাস শুরু করেছে তৃণমূল। রাজনৈতিক ভাবে নিজেদের সংগঠন বাড়াতে না পেরে এখন পেশি বল প্রয়োগ করছে শাসক দল। আর প্রশাসন তাদের মদত দিয়ে নিরপরাধ সিপিএম সমর্থকদের নামে মামলা রুজু করে তাদের হয়রানি করছে। দ্রুত এই প্রবণতা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছি পুলিশ সুপারের কাছে।” যদিও রাজগঞ্জের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার কার্যকরী সভাপতি খগেশ্বর রায় বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই সিপিএমের পায়ের তলায় জমি সরতে শুরু করে। ক্ষমতায় থাকাকালীন ওরা প্রশাসনিক মদত নিয়ে সন্ত্রাস চালিয়েছে এখন মিথ্যে অভিযোগের অজুহাত দিয়ে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে। গত রবিবারও সিপিএম পার্টি অফিস থেকে তৃণমূল সমর্থকদের ওপরে হামলা চালিয়ে অপপ্রচার শুরু করে।” জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “ভাঙামালিতে সংঘর্ষ এবং ভাঙচুরের ঘটনায় দুপক্ষের সমর্থকদেরইগ্রেফতার করা হয়েছে। পক্ষপাতের অবকাশই নেই।” |
জাতীয় সড়ক সংস্কারে পথ অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধূপগুড়ি |
৩১ ডি জাতীয় সড়ক সংস্কারের দাবিতে বুধবার দেড় ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল ধূপগুড়ির ঝুমর গ্রামের বাসিন্দারা। বেলা ১১টা থেকে তাঁরা জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করেন। দীর্ঘ দিন ধরে জাতীয় সড়ক বেহাল হয়ে থাকলেও মেরামতির কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। পথ অবরোধে জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে যানজট তৈরি হয়। বাস থেকে শুরু করে পণ্যবাহী ট্রাক যানজটে আটকে পড়ে। বাসিন্দারা জানান, প্রায় এক বছর ধরে শিলিগুড়ি থেকে অসম যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ৩১ডি জাতীয় সড়ক বেহাল অবস্থায় থাকায়, গ্রামের অসুস্থ বা গর্ভবতীদের ৮ কিমি দূরে ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তেমনই ভাঙা রাস্তা দিয়ে নিয়মিত কৃষিপণ্য ধূপগুড়ি বাজারে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। চার লেনের মহাসড়ক তৈরির জন্য কয়েক বছর আগে রাস্তা মহাসড়ক কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়। তার পর থেকেই রাস্তা সংস্কারের কাজ বন্ধ বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। সড়ক সংস্কারের দাবিতে এলাকায় নাগরিক কমিটি তৈরি করে আন্দোলন শুরু করেছেন বাসিন্দারা। এদিন সাড়ে ১২ টা নাগাদ ধূপগুড়ি থানার পুলিশ গিয়ে রাস্তা সংস্কার নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। |
পানীয় জলের দাবি, অবরোধে চা শ্রমিকেরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ করল মধু চা বাগানের শ্রমিকরা। বুধবার সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কালচিনি ব্লকের মধু চৌপথীতে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে ওই অবরোধ হয়। পরে ব্লক প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। তৃণমূল টি প্ল্যান্টেশন ওর্য়াকার ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনিরুদ্ধ গোস্বামী এই দিন অই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, গত শনিবার থেকে মধু চা বাগান বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার পানীয় জল সরবরাহের জন্য যে পাম্প ব্যবহার করা হয় তার তেল কমে যায়। ফলে আর পাম্প চালানো যায়নি। তাতেই পানীয় জলের সমস্যা শুরু হয়। পরে বিডিও গিয়ে তেলের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। বিডিও জানিয়েছেন, চা বাগান খোলা নিয়ে আগামী ৪ জানুয়ারি একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। |
বধূকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
মোবাইলে অশালীন ছবি তুলে এক গৃহবধূকে দিনের পর দিন ধর্ষণে অভিযুক্ত অসীম রায়চৌধুরীকে ধরল জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ৩১ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ির দেবনগর এলাকার বাসিন্দা এক বধূ তথা বিমা সংস্থার এক এজেন্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন, মোবাইলে তোলা ছবি সকলকে দেখিয়ে দেবে বলে ভয় দেখিয়ে গত ৪ মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। বিমা করার টোপ দিয়ে শহরের হাকিমপাড়া এলাকার এক বাসিন্দা ব্যবসায়ী অসীম রায়চৌধুরী মহিলাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে বেহুঁশ করে, মহিলার নগ্ন ছবি তুলে রাখেন বলে অভিযোগ। তার পর থেকেই ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এ দিন থানায় অভিযোগ দায়েরের পরেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে ধৃতের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে আশালীন ভিডিও ছবি পুলিশের হাতে আসেনি বলেই জানানো হয়েছে। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “ধৃতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হলে তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তার নামে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। |
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত মা-মেয়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেলেন মা ও শিশু। বুধবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে নাগরাকাটা থানার জলঢাকা নদীর রেল সেতুর কাছে। রেল পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম কালামাই সাঁওতাল (২০) ও সুজন সাঁওতাল (৩)। তাঁদের বাড়ি নাগারাকাটার সুখানি বস্তিতে। এটি দুর্ঘটনা না আত্মহত্যা তা রেল পুলিশের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখছে। এই দিন বিকালে শিলিগুড়ি জংশন থেকে আলিপুরদুয়ারগামী একটি মালগাড়ির ধাক্কায় ঘটনাটি ঘটে বলে বাসিন্দারা জানান। পুরো ঘটনার বিশদ খোঁজখবর করছেন আলিপুরদুয়ার রেল ডিভিশনের এডিআরএম বনিসাস লাকড়া। তিনি বলেন, “ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |