নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
নতুন ভবন তৈরির পরে তা হস্তান্তর নিয়ে সিপিএম পরিচালিত জেলা পরিষদের গড়িমসিতে ফালাকাটায় দমকল কেন্দ্র চালু হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রায় আড়াই বছর আগে ওই ভবনের শিলান্যা হয়। এক বছরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জেলা পরিষদ কাজ শেষ করে। তার পরেও ওই ভবন দমকলকে হস্তান্তর করেনি জেলা পরিষদ। তৃণমূলের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে সিপিএম ওই কাজে দেরি করিয়ে দিতে চাইছে। যদিও জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সভাধিপতি দীপ্তি দত্ত বলেন, “অন্য কোনও কারণ নেই। প্রশাসনিক কারমে সমস্যা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা দমকল বিভাগকে ভবন হস্তান্তর করব।” ফালাকাটায় দমকল চালু নিয়ে টালবাহানায় বিরক্ত দমকল মন্ত্রী জাভেদ খানও। |
নতুন ভবন। ছবি: রাজকুমার মোদক। |
তিনি বলেন, “আমি নিজেও খোঁজখবর রাখছি। ঘরগুলির কিছু কাজ বাকি রয়েছে বলে শুনেছি। সব কিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারি মাসে যে করে হোক আমরা দমকল কেন্দ্রটি চালু করব।” প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ফালাকাটায় কোনও দমকল কেন্দ্র নেই। কাছের দমকল কেন্দ্রটি প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরের ধূপগুড়িতে। ফালাকাটায় আগুন লাগলে দমকল পৌঁছতে দেড় ঘণ্টা লেগে যায়। সে জন্য ২০১০ সালের ২৫ আগস্ট ফালাকাটার থানা রোডের ধারে দমকল কেন্দ্রের শিলান্যাস হয়। ৯০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। ভবন তৈরি করতে জেলা পরিষদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কাজ শুরু হতে চার মাস চলে যায়। জেলা পরিষদের নিয়মিত নজরদারির অভাবে কাজ শেষ হতে এক বছরের জায়গায় প্রায় ২ বছর গড়িয়ে যায়। গত সেপ্টেম্বর মাসে ঠিকাদার কাজ শেষ করেছে বলে জেলা পরিষদের কর্তারা কয়েকজন দাবি করেন। অথচ তিন মাস বাদে কেন ভবনটি হস্তান্তর করা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সকলে। ফালাকাটার তৃণমূল বিধায়ক অনিল অধিকারী বলেন, “দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর দমকল কেন্দ্রের অনুমতি মিলেছে। জেলা পরিষদের টালবাহানায় তা চালু হতে দেরি হচ্ছে। মানুষ আগুনের আতঙ্কে ভুগছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেবেন।” তবে এলাকার সিপিএম নেতা নিতাই পাল দাবি করেছেন, তৃণমূল সরকার দমকলের ইঞ্জিন পাঠানো কিংবা কর্মী নিয়োগ করেনি বলেই তা চালু হচ্ছে না। যেখানে ভবন হস্তান্তর হয়নি, সেখানে দমকল ইঞ্জিন এনে রাখবে কোথায়? এর জবাবে নিতাইবাবু বলেন, “জেলা পরিষদ হস্তান্তর করতে দেরি কেন করছে কেন সেটা অবিলম্বে রাজ্য সরকারের দেখা উচিত।” |