মহাযুদ্ধের আগে দুই অধিনায়কই ‘কুল’
দেশ জুড়ে একের পর এক সমালোচনায় বিদ্ধ তিনি। সেঞ্চুরি করছেন, টিম ইন্ডিয়াকে ধ্বংসস্তুপ থেকে তুলে আনছেন সম্মানের পাটাতনে, কিন্তু তবু তিনি ‘পাঞ্চিং ব্যাগ’। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা কেউ বলছেন, তুমি আইপিএল ছাড়ো। কেউ বলছেন ক্যাপ্টেন্সিটাই ছাড়ো।
যুদ্ধের আগের দিন কোচ ডানকান ফ্লেচারের ক্লাসে গৌতম গম্ভীর।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ভাঙবেন, তবু মচকাবেন না। স্বীকার করবেন, ইডেনে তাঁরা “একটু চাপে”। কিন্তু কখনওই সেটা চাপের গন্ধমাদন নয়। “কে কী বলছে না বলছে, সেটা নিয়ে আমি ভাবি না। সবারই ব্যক্তিগত মতামত আছে। সেটাকে সম্মান দেওয়া উচিত। সমস্যাগুলো কোথায়, সেটা তো সবাই জানে। আসল ব্যাপার হল তার সমাধান খুঁজে বের করা,” বুধবার ইডেনে প্র্যাক্টিস শেষে বলছিলেন ধোনি। বার্তাটা পরিষ্কার। বিশেষজ্ঞের চেয়ারে বসে অনেক কিছু বলা যায়। মতামত দেওয়া যায়। কিন্তু যাবতীয় প্রশ্নের উত্তরগুলো খোঁজার দায়িত্বটা তাঁরই থাকছে।
ভারত অধিনায়কের আরও মনে হচ্ছে, ওয়ান ডে সিরিজে এখনই ‘গেল গেল’ রব তোলার যুক্তি নেই।
পিচের চরিত্র বুঝে নেওয়ার চেষ্টায় মিসবা-উল-হক।
বলছেন, “আমার টিমে সবাই নিজেদের উন্নতি করার চেষ্টা করছি। সবে একটা ম্যাচ হল। ওয়ান ডে-র নিয়মগুলো পাল্টেছে। বোলারদের কাজ এখন আরও কঠিন। বিশেষ করে তিরিশ গজের মধ্যে পাঁচজন ফিল্ডার রেখে পার্ট-টাইম বোলার দিয়ে বল করানো।” সঙ্গে আরও যোগ করছেন, “আরও একটা কথা আপনাদের মনে রাখতে হবে। টিমটা কিন্তু এখন ভাঙা-গড়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বোলিং বিভাগে তারুণ্যের ছড়াছড়ি। আমি তাই এত বিপর্যয় নিয়ে ভাবতে রাজি নই। বরং বলব, এই জুনিয়রদের তৈরি করতে হবে। যেটা আমার কাজ। তবে হ্যাঁ, ব্যাটিং আগের ম্যাচে ভাল হয়নি। এই ম্যাচে হওয়া দরকার।” এমএসডি-র মতোই চাপ আছে তাঁরও। সচিন-বিদায় যদি পরোক্ষে টিম ইন্ডিয়ার ঘাড়ে অদৃশ্য বোঝার মতো চেপে বসে থাকে, তা হলে মিসবা উল হককেও দায় নিতে হচ্ছে শাহিদ আফ্রিদিকে বাদ দেওয়ার। সচিন-প্রসঙ্গে ধোনিকে করা ভারতীয় মিডিয়ার প্রশ্নগুলোর মতো রেখেঢেকে নয়, সরাসরিই জিজ্ঞেস করা হচ্ছেআফ্রিদি কেন বাদ? মিসবার উত্তরও সোজাসাপ্টা। “আপনাদের কে বলল আফ্রিদি বরাবরের জন্য বাদ? ওর মতো প্লেয়ার চিরকাল টিমের বাইরে থাকবে নাকি?”
ভারত-পাক লড়াই ইডেনে
১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৭
ফল: পাকিস্তান দুই উইকেটে জয়ী
ম্যাচের নায়ক: সেলিম মালিক
২৮ অক্টোবর, ১৯৮৯
ফল: পাকিস্তান ৭৭ রানে জয়ী
ম্যাচের নায়ক: ইমরান খান
১৩ নভেম্বর, ২০০৪
ফল: পাকিস্তান ছয় উইকেটে জয়ী
ম্যাচের নায়ক: সলমান বাট
বলে দিচ্ছেন ওয়াঘার ওপারের ‘ক্যাপ্টেন কুল’। চমকানোর কিছু নেই। এই নামে মিসবাকেও ডাকা হয়। যিনি আরও বলছেন, “সত্যি বলতে, মাঝের ওভারগুলোয় আফ্রিদিকে খুব মিস করছি। ও দরকারের সময় ব্রেক-থ্রু দিত। ওর বোলিং এখনও দরকার পাকিস্তানের।” একই সঙ্গে মিসবা কতটা স্বস্তিতে, ধরা পড়ে ভারত-পাক সিরিজের উত্তেজনা নিয়ে তাঁর মন্তব্যে। মিসবা নাকি কোনও চাপ টেরই পাচ্ছেন না। বলছেন, “প্রথম ম্যাচে ও সব থাকে। কিন্তু সিরিজ যত এগোয়, আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই হয়ে যায়। তা ছাড়া ইডেনে অনেক ভাল স্মৃতি আছে আমাদের। ভারতের কাছে এখানে কখনও হারিনি। ইনশাল্লাহ্, এ বারও যেন জিতে ফিরি।”

ছবি: উৎপল সরকার




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.