|
|
|
|
|
এই পাকিস্তান টিমে সুপারস্টার নেই,
তাই এ ভাবে ঝাঁপাতে পারে |
|
বলিউড আর ক্রিকেট দু’দেশের দুই প্রিয় বিষয় নিয়ে শুধুমাত্র আনন্দবাজারের
জন্য লিখলেন বিখ্যাত পাকিস্তানি ক্রিকেট সাংবাদিক
আব্দুল মজিদ ভাট্টি |
আইপিএল ওয়ানে যে ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ম্যাচ জিতিয়েছিল উমর গুল, আজ সেই ইডেনে ওর খেলা অনিশ্চিত। কারণটা অবশ্য অক্রিকেটীয়। উমরের জ্বর। বুধবার নেটে কিছুক্ষণ বল করার পর ও আর বল করতে পারেনি। কিন্তু উমরই পাকিস্তান বোলিংয়ের অন্যতম প্রধান ভরসা। তার উপর ইডেনেই সিরিজ জয়ের হাতছানি। তাই উমরকে খেলানোর প্রাণপণ চেষ্টা চালানো চলছে। অনিশ্চয়তার মেঘ অবশ্য বুধবার রাত পর্যন্ত কাটেনি।
কেকেআরের হোম গ্রাউন্ড ইডেনে আজ সিরিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামছে পাকিস্তান। এই দলটাকে যত দেখছি, তত ভাল লাগছে। ভারত সফরে যে ওরা এ ভাবে চমকে দেবে, ভাবতেই পারিনি। আসলে কী জানেন, এই পাকিস্তান টিমটায় বিশাল মাপের কোনও সুপারস্টার নেই। সে জন্যই হয়তো দলে ইগোর কোনও জায়গা নেই। তরুণরা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে নিজেদের প্রমাণ করার জন্য। ওদের মধ্যে এই খিদেটা কিন্তু সত্যিই দারুণ ব্যাপার। আর ওদের মধ্যে কারওরই টিমে বার্থ পাকা নয়। ওরা সবাই জানে, টিমে ওদের জায়গা নেওয়ার জন্য আরও অনেকে বসে আছে। তাই কিছু করে দেখানোর খিদেটা এদের মধ্যে আরও বেশি। বিশেষ করে ভারতের বিরুদ্ধে। এরা সবাই জানে, ভারতের বিরুদ্ধে ভাল খেলা মানে রাতারাতি পাকিস্তানে তুমি ‘হিরো’ হয়ে গেলে। ‘হিরো’-র প্রসঙ্গে বলি, বলিউডের তিন খানের সঙ্গে দেখা করার ভীষণ ইচ্ছে ছিল আমার। আমির তো এক বার পাকিস্তানে আমাদের অফিসে এসেছিল। ওখানেই ওর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। সলমনকে দেখলাম মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে, আইপিএল ওয়ানের ফাইনালে। তবে যার আমি সবচেয়ে বড় ফ্যান, সেই শাহরুখের সঙ্গে এখনও আলাপ হয়ে ওঠেনি। ২০০৮ আইপিএলেই যা দেখেছি। তা-ও বেশ দূর থেকে। ওটাই আমার শেষ ভারত সফর। যে বার কেকেআরের একটা জার্সি নিয়ে গিয়েছিলাম আমার ছেলের জন্য। কী সুন্দর জার্সিটা। আমার ছেলে শাহরুখের দারুণ ভক্ত। ওর জন্যই আইপিএলে কেকেআরের জন্য গলা ফাটায়।
নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি বলিউডের পোকা। ‘তলাশ’, ‘দবাং’, ‘যব তক হ্যায় জান’সব আমি রিলিজ করার দিনই দেখে ফেলেছি। আর শুধু আমি কেন, গোটা পাকিস্তান বলিউডে মজে। আসলে ওখানে তো বিনোদনের খুব বেশি বিকল্প নেই। পাকিস্তান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির হালও খুব খারাপ। বছরে হয়তো ছ’সাতটা ছবি হয়। তাই বলিউড আর হলিউডই ভরসা। আগে যখন বলিউডি ছবি আমাদের দেশে রিলিজ করত না, তখন ওখানকার থিয়েটারগুলো পুরো খাঁ-খাঁ করত। তিন-চার বছর হল ওখানে বলিউডের সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। আর মাল্টিপ্লেক্সগুলোর সামনে সে কী ভিড়! দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত পাওয়া যায় না। এই তো যে দিন ‘তলাশ’ মুক্তি পেল, মাল্টিপ্লেক্সের সামনে বিশাল ট্র্যাফিক জ্যাম! আচ্ছা, মোনালিসা গেস্টহাউস নামে সত্যি সত্যিই কোনও হোটেল আছে কলকাতায়? ভাবছেন একজন ক্রিকেট সাংবাদিক ভারত-পাক সিরিজ ছেড়ে হঠাৎ মোনালিসা গেস্টহাউস নিয়ে কেন পড়ল? আসলে আমি দু’বার ‘কহানি’ দেখে ফেলেছি। দারুণ লেগেছে। তাই জায়গাটা দেখার ইচ্ছে ছিল খুব। ‘তলাশ’ সিনেমায় যেমন যে রেস্তোরাঁটা দেখিয়েছে কয়েক বার, সেই ‘দিল্লি দরবার’-এ অনেক বার খেয়েছি। কিন্তু কী আর করা যাবে। এ বার সিরিজটা এত ছোট যে কাজ শেষ করে বেড়ানোর সময়ই পাচ্ছি না। |
|
|
|
|
|