ঘরের মাঠে ভারত পরপর দুটো ম্যাচ হারবে? ভাবতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। বরং ইডেনের ম্যাচে ভারত জিতবে, এমন ভাবাই বেশি সোজা মনে হচ্ছে।
জানি, পাকিস্তান যথেষ্ট ভাল দল। নিজেদের উজাড় করে দিচ্ছে ওরা। কিন্তু কিছু তো আছেই, যেগুলো ঠিকঠাক করে দেখাতে পারলে ভারত ইডেনে লড়াইয়ে ফিরতে পারবে। সেগুলোর কথায় পরে আসছি। তার আগে ইডেন চর্চাটা সেরে ফেলা যাক।
টসটা বেশ গোলমেলে ব্যাপার হয়ে উঠবে ইডেনে। যেহেতু দিন-রাতের ম্যচ, তাই শিশিরের প্রভাব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তো বটেই। তবে ম্যাচটা বেলা বারোটায় শুরু। তাই পরিস্থিতিটা একটু অন্য রকম বইকী। দুই দলের ক্যাপ্টেনের পক্ষেই টস জিতে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা বেশ কঠিন। যা-ই সিদ্ধান্ত নিক তারা, সেটা ভুল হতেই পারে। |
তাই একটু ভেবেচিন্তে, সেই মুহূর্তের পরিস্থিতি বিচার করেই ঠিক করতে হবে। কলকাতায় এখন যা আবহাওয়া, তাতে শিশিরের সমস্যা হবেই। কিন্তু আর একটা ব্যাপারও মাথায় রাখতে হবে ক্যাপ্টেনদের। ইডেনের উইকেটে খেলা যত এগোয়, ততই শট নেওয়া কঠিন হতে থাকে। তার ওপর বিকেল পাঁচটা থেকে যখন শিশির পড়া শুরু হবে, তখন ম্যাচের শেষ ওভারে বোলারদের কাজও কঠিন হয়ে উঠবে। তাই দুই ক্যাপ্টেনকে খুব সতর্কতা নিয়ে টস জেতার পরের সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। ধোনি, মিসবাকে একটা ছোট্ট পরামর্শ দিয়ে রাখা যাক, উইকেটে যদি ঘাস থাকে, তা হলে উইকেট ভাঙার সম্ভাবনা খুব কম। সে ক্ষেত্রে বল ব্যাটে আসবে এবং ব্যাটসম্যানরাও খেলতে পারবে।
এ বার সেই বিষয়গুলো, যেগুলো ঠিকঠাক করতে পারলে ভারত লড়াইয়ে ফিরতে পারে। প্রথমত, ভারতীয় ওপেনারদের খোলস ছেড়ে বেরোতে হবে। যাতে তাদের তৈরি ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা একটা বড় ইনিংস গড়ার কাজ করতে পারে। বীরু-গোতি, দু’জনকেই ধৈর্য ধরে রানের সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে হবে। ইদানীং বড্ড তাড়াহুড়ো করে ফেলছে ও। স্পিনারদেরও বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো উচিত। ধোনিকে ওর স্পিনাররা সে ভাবে সাহায্য করতে পারছে না। জাডেজাকে পার্ট টাইম বোলার হিসেবে খেলালে বোধহয় ভাল হবে। সে ক্ষেত্রে বোলিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটিংয়েও বেশ কিছুটা পাওয়া যাবে ওর কাছ থেকে। ব্যাটিং নিয়ে অবশ্য খুব একটা চিন্তা করতে হচ্ছে না। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি বেশ ভাল ফর্মে রয়েছে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বরাবরই যে ও বেশি স্বচ্ছন্দ, তার প্রমাণ তো অনেকবারই দিয়েছে ভারত অধিনায়ক। কিন্তু ক্যাপ্টেন হিসেবে নিজের দক্ষতার প্রমাণ আরও একটু দিতে হবে ওকে। ওর দলে কয়েক জন তরুণ ফাস্ট বোলার আছে এবং তারা ওকে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করার যথেষ্ট রসদ জোগাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু স্পিনারদের কাছ থেকে আরও কিছু বের করে নিতে হবে ধোনিকে। বোলিংয়ের দুই বিভাগই যদি আজ ইডেনে নিজেদের আসল ফর্মে চলে আসে, তা হলে তো পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস উঠবে। |