|
|
|
|
সঙ্কটে ডেভিস কাপ অভিযান |
হুমকি, পাল্টা হুমকিতে যুদ্ধক্ষেত্র ভারতীয় টেনিস |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করল ভারতীয় টেনিসে।
শুধু মহেশ ভূপতি-রোহন বোপান্না নন এবার দেশের সেরা আরও ছয় খেলোয়াড় জ্বালালেন এই বিদ্রোহের আগুন। বছরের প্রথম দিনই আনন্দবাজার পত্রিকায় ভারতীয় টেনিসে নতুন বিদ্রোহের যে আগাম খবর প্রকাশ করা হয়েছিল, সোমদেব তার সত্যতা স্বীকার করার পর থেকেই তা নিয়ে উত্তাল ভারতীয় মিডিয়া। আট খেলোয়াড় যেমন তাঁদের দাবি ও হুমকিতে অনড়, তেমন অনমনীয় সর্বভারতীয় টেনিস সংস্থাও। সচিব ভরত ওঝা সাফ জানিয়ে দিলেন, বিদ্রোহীদের দাবি মানার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। দুই পক্ষের লড়াই যে দিকে যাচ্ছে তাতে ভারতীয় টেনিস ক্রমশ অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে। |
|
সোমদেব-মহেশ। চেন্নাই ওপেনের ফাঁকে ঘনিষ্ঠ আড্ডায়। |
গত বছর দেশের টেনিস প্রশাসনকে নাকানি চোবানি খাইয়েছিলেন মহেশ ভূপতি ও রোহন বোপান্না। এবার তাঁরা নীরব থাকলেও সরব হয়ে উঠলেন দেশের সেরা সিঙ্গলস খেলোয়াড় সোমদেব দেববর্মন। সোমদেবসহ দেশের আট খেলোয়াড় সরাসরি হুমকি দিলেন, তাঁদের দাবি না মানা হলে কোরিয়ার বিরুদ্ধে আসন্ন ডেভিস কাপ টাইয়ে না খেলার হুমকি দিলেন। এই খেলোয়াড়রা হলেন মহেশ ভূপতি, রোহন বোপান্না, ইউকি ভামরি, বিষ্ণু বর্ধন, সনম সিংহ, দিবিজ শরণ, সকেত মিনেনি ও সোমদেব দেববর্মন। এঁদের মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হবে ডেভিস কাপের দল। তাঁদের দাবি মূলত তিনটি।
১) নন প্লেইং ক্যাপ্টেন শিব মিশ্র ও কোচ নন্দন বালকে সরাতেই হবে।
২) অস্থায়ী ফিজিওকে সরিয়েও পাকাপাকিভাবে একজন ফিজিও নিয়ে আসা হোক দলের জন্য।
৩) ডেভিস কাপের আর্থিক পুরষ্কার ভাগাভাগির অনুপাত এখন যেখানে ৫০-৫০, তা খেলোয়াড়দের পক্ষে আরও বাড়ানো হোক।
এ ছাড়া তাঁদের পছন্দমতো ভেনু বাছাইয়ের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। চেন্নাইয়ে সোমদেব মন্তব্য করেন, “আমি এখন সেরকম কিছুই বলছি না। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করছি না। তবে আগামী দু-তিন দিনে আপনারা আমার কাছ থেকে আরও কিছু শুনবেন।” তা আরও বিস্ফোরক হবে কি না, সেটাই প্রশ্ন।
লিয়েন্ডার পেজ অবশ্য নীরব। কোনও কথাই বলতে রাজি নন তিনি। অযথা ভারতীয় টেনিসের অগ্নিকান্ডে পুড়ে মরতে রাজি নন তিনি। বরং চেন্নাই ওপেনে মন দিতে চান। এআইটিএ শুরুতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে বসার ভাবনা ভাবলেও রাতে সর্বভারতীয় টেনিস সংস্থার সচিব ভরত ওঝা বলেন, “ওরা যেগুলো দাবি করছে, সেগুলো অন্যায়। ওরা এই দাবিগুলো করতে পারে না। কোন সারফেসে খেলতে চায় তারা, সেই ব্যাপারে ওদের সঙ্গে পরামর্শ করতেই পারি আমরা। আগে তা হয়েছেও। লিয়েন্ডারের মতো সিনিয়রের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনাও হয়েছে আমাদের। কিন্তু কোন শহরে খেলা হবে, সেই দাবি তো ওরা করতে পারে না। তা ছাড়া কোচ, ক্যাপ্টেনকে সরিয়ে অন্য কাউকে আনার দাবিও ওদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। এবার আমরা একটা ডিসিপ্লিনারি কোড আনছি। যারা ডেভিস কাপে খেলবে, তাদের এই ডিারি কোডে সই করতে হবে। তারা যদি এতে সই না করে, তা হলে সে খেলতে পারবে না। কি হবে, কেউ যদি ডেভিস কাপে না খেলতে চায়, খেলবে না। আমরা হেরে যাব। এর বেশি তো কিছু হবে না। তাই হোক।” আগে অবশ্য বলেছিলেন, “সমস্ত দাবির বিষয়ে আমরা খেলোয়ারদের সঙ্গে কথা বলেছি। সপ্তাহের শেষে বিষয়গুলো আমাদের সভায় তুলব। আশা করি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।” কিন্তু ওঝার প্রতিক্রিয়া নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করে দিল। |
|
|
|
|
|