|
|
|
|
কড়া নিরাপত্তার আয়োজন শহরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে মেদিনীপুরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। অনুষ্ঠানস্থল থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর যাতায়াতের পথে থাকবে আঁটোসাটো নিরাপত্তা। রাস্তার দু’ধারের দোকানের সামনে কোনও যানবাহন রাখতে বারণ করা হয়েছে। হোটেল মালিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি আবাসিকের ক্ষেত্রেই রাখতে হবে পরিচয়পত্র ও উপযুক্ত নথি। বুধবারই ব্যবসায়ীদের নিয়ে কোতোয়ালি থানায় বৈঠক করেন থানার আইসি সুশান্ত রাজবংশী। তিনি বলেন, “নিরাপত্তার খাতিরে ও মুখ্যমন্ত্রীর যাতায়াতের পথে যানজট এড়াতে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে।”
মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট মাঠে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে জঙ্গলমহল বিবেক ছাত্র ও যুব উৎসব। সেখানে শনিবার উপস্থিত থাকার কথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধেয় তিনি মেদিনীপুরে পৌঁছে যাবেন। ওই দিন থাকবেন মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে। ওই দিন একটি প্রশাসনিক বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে। পরদিন রয়েছে কলেজ মাঠে অনুষ্ঠান। যেখানে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের হাতে নিয়োগের শংসাপত্র তুলে দেওয়া, জঙ্গলমহল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ফুটবল দলগুলিকে অর্থ সাহায্য, সংখ্যালঘু ছাত্রীদের সাইকেল বিতরণ-সহ নানা অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। |
|
মহড়া। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে কুচকাওয়াজের মহড়ায় ব্যস্ত পুলিশ।
মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট মাঠে সৌমেশ্বর মণ্ডলের তোলা ছবি। |
মাঠের চারদিকে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হচ্ছে। তাছাড়াও শহরের যে সব রাস্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর যাতায়াতের পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন, সেই সমস্ত রাস্তার ধারে থাকা দোকান, হোটেল, পেট্রোল পাম্পগুলির সামনে গাড়ি রাখায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ওই দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশ-প্রশাসন জঙ্গলমহলের তিনটি জেলা থেকে প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে নিয়ে আসবে। তার উপর মাঠের ফাঁকা অংশ ভরাতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আসবে তৃণমূল। সব মিলিয়ে ওই দিন শহরে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হবে বলে অনুমান করছে প্রশাসন। ভিড়ের দিনে রাস্তার ধারে সাইকেল, রিকশা, অটো রিকশা, মোটর সাইকেল বা চার চাকার গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে যানজট এড়ানো আরও কঠিন হবে বলেই মনে করছে তারা। হোটেলে আবাসিক রাখার ক্ষেত্রেও কঠোর ভাবে নিয়ম মানার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|