|
|
|
|
নজরে ভোট |
গরিবদের ঘর তৈরি করতে আরও টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের
শঙ্খদীপ দাস • নয়াদিল্লি |
বাজেট পর্যন্তও সবুর করতে চাইছে না কংগ্রেস। সময়ে লোকসভা ভোট হলে হাতে রয়েছে সাকুল্যে ১৪ মাস। সে দিকে তাকিয়ে এ বছরের শুরু থেকেই তাই নতুন উদ্যমে নেমে পড়তে চলেছে মনমোহন সিংহ সরকার। লক্ষ্য, আম আদমি, বিশেষত ‘গাঁও কা আদমি’-র মন জয়। ভর্তুকির অর্থ নগদে হস্তান্তরের প্রকল্প ১ জানুয়ারি থেকে দেশের কুড়িটি জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে। এ বার গরিবদের গৃহ নির্মাণের জন্য অনুদান এক ধাক্কায় ৩০ হাজার টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র।
ইন্দিরা আবাস যোজনায় এখনকার অনুদান ৪৫ হাজার টাকা। তা বাড়িয়ে গরিব গৃহহীনদের পাকা বাড়ি নির্মাণের জন্য কেন্দ্রের অনুদান করা হবে ৭৫ হাজার টাকা। সঙ্গে নামমাত্র সুদে আরও অন্তত তিরিশ হাজার টাকা ঋণ নেওয়ার সুযোগও করে দিতে পারে কেন্দ্র। শীঘ্রই এ ব্যাপারে প্রস্তাবে সবুজ সঙ্কেত দেবে মনমোহন মন্ত্রিসভা।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রে বলা হচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতির কারণে ইস্পাত, সিমেন্ট-সহ বাড়ি বানানোর সামগ্রীর খরচ বেড়ছে। তাই কেন্দ্রের অনুদান বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় বাছার নেপথ্যে যে রাজনৈতিক কার্যকারণ বিবেচিত হচ্ছে, মন্ত্রকের কর্তারা তা অস্বীকার করছেন না। আবার পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রের তরফে এমন ঘোষণার সম্ভাবনার কথা জেনে আজ উৎসাহ দেখান রাজ্য কংগ্রেসের নেতারাও।
কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড়, রাজস্থান, দিল্লি, ত্রিপুরা-সহ কিছু রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনও আসন্ন। সংস্কারের ঘোড়ায় সওয়ার থেকেও সরকার যে তাই ‘পপুলিজমের’ পথে হাঁটবে, অনেক দিন ধরেই তা আন্দাজ করা যাচ্ছিল। কেন না লোকসভা ভোটের আগে এ বছরের বাজেটই হবে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সরকারের ঝুলিতে অনেক অস্ত্র রয়েছে। বাজেটে এক ধাক্কায় অনেক ঘোষণা না করে ধাপে ধাপে তা করতে চান সনিয়া-মনমোহন। কংগ্রেস সভানেত্রী চাইছেন, সরকার যে সব প্রকল্প ঘোষণা করবে তার বাস্তবায়নও যেন দ্বিতীয় ইউপিএ জমানায় শুরু হয়ে যায়।
অন্য দিকে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রে বলা হচ্ছে, ইন্দিরা আবাস যোজনায় অনুদান বাড়ানোর সঙ্গে, ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে ন্যূনতম মজুরিও কিছু দিনের মধ্যে বাড়াবে কেন্দ্র। খরা ও বন্যা কবলিত এলাকায় প্রকল্পের মেয়াদ দেড়শো দিন করা হতে পারে। ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রসঙ্গে মন্ত্রকের এক কর্তা আজ জানান, পার্বত্য ও দুর্গম এলাকায় অনুদানের পরিমাণ ৮০ হাজার টাকা করার প্রস্তাবও রয়েছে। চলতি সপ্তাহে মন্ত্রিসভার বৈঠকেই এই প্রস্তাব অনুমোদন পেতে পারে।
সরকার যে ইন্দিরা আবাস প্রকল্পের অনুদান বাড়াতে পারে, সেই সম্ভাবনার কথা বিরোধীরা আঁচ করছিলেন। সরকারের সমালোচনার রাস্তা তাই তাঁরা খোলা রেখেছেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার দাবি করেছেন, ৪৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে অনুদান ১ লক্ষ টাকা করতে হবে। ফলে অনুদান আরও বাড়ানোর দাবিতে বিরোধীরা সরব হতে পারেন। |
|
|
|
|
|