কলেজে প্রার্থী দিতে না পেরে কাটোয়ায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছিল তৃণমূল এবং সিপিএম। এ বার কলেজ ভোট নিয়ে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠল কেতুগ্রামে। তবে এ ক্ষেত্রে অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের সংগঠনের দিকে।
কেতুগ্রামের কান্দরায় রাধাকান্ত কুণ্ডু মহাবিদ্যালয়ে টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে ছাত্র পরিষদ ও এসএফআই। তাদের দাবি, সে কারণেই ওই কলেজের ছাত্র সংসদের ১২টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে টিএমসিপি। বুধবার কলেজে মনোনয়নপত্র তোলার দিন ছিল। জমা দেওয়ার দিন আজ, বৃহস্পতিবার। কলেজে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় দু’হাজার। ছাত্র সংসদের ভোট হওয়ার কথা ১০ জানুয়ারি। কলেজের অধ্যক্ষ মৃণালকান্তি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “১২টি আসনের জন্য ২০টি মনোনয়ন পত্র তোলা হয়েছে।”
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে ছাত্র সংসদ গঠিত হয়। ২০০৯ ছাড়া কোনও বারই কলেজে ভোট হয়নি। সে বছর ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জোট করে এসএফআই-কে হারিয়ে ছাত্র সংসদ দখল করে।
এসএফআই এবং ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, গত বছর মনোনয়ন পত্র তোলাকে কেন্দ্র করে কলেজ চত্বরে তৃণমূল বোমাবাজি করে। কলেজের মধ্যে ছাত্র পরিষদ কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগও ওঠে। গত বছরেও টিএমসিপি ছাড়া অন্য কোনও ছাত্র সংগঠন মনোনয়ন তুলতে পারেনি। ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, এ বছরও টিএমসিপি ঠিক করে, অন্য কাউকে মনোনয়ন তুলতে দেবে না তারা। সেই মতো এ দিন সকাল থেকে সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি করে তারা।
ছাত্র পরিষদ নেতা শেখ সোলেমানের অভিযোগ, “এসএফআই এবং টিএমসিপি-র মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। দু’টি সংগঠনই ছাত্র সংসদ দখল করতে গায়ের জোর দেখায়।” এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক দীপক দে-র অভিযোগ, “কান্দরার ওই কলেজে টিএমসিপি ছাড়া অন্য কোনও সংগঠন কার্যত নিষিদ্ধ। আমাদের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নেই।”
তৃণমূলের তরফে অবশ্য এমন সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। দলের জেলা নেতা আব্দুল মান্নানের বক্তব্য, “টিএমসিপি ছাড়া অন্য কারও ওই কলেজে ন্যূনতম সংগঠন নেই। প্রার্থী দিতে পারবে না বলেই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছে অন্যেরা।” কলেজে সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরির অভিযোগ মানেনি পুলিশও।
পূর্বস্থলী কলেজেও অন্য কোনও সংগঠন মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় ছাত্র সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চলেছে টিএমসিপি। বুধবার মনোনয়ন জমার দিন ছিল। ১২টি আসনের জন্য একমাত্র টিএমসিপি ছাড়া কেউ প্রার্থী দেয়নি। |