কোচবিহার শহরে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির দোকানের দেওয়াল কেটে ঢুকে ১০ টি বন্দুক সহ প্রচুর কার্তুজ চুরির ঘটনার চার দিন পরেও দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। রবিবার সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। পুলিশের প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে যাওয়া হলেও কোনও সূত্র মেলেনি। তাই হাতের ছাপ মেলে কি না তা খতিয়ে দেখতে সিআইডির বিশেষজ্ঞরা কলকাতা থেকে আসার কথা। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “সমস্ত সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে তদন্ত হচ্ছে। ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি থেকে সিআইডি’র একটি দল কোচবিহার ঘুরে গিয়েছেন। শীঘ্রই কলকাতা থেকে হাতের ছাপ বিশেষজ্ঞ সহ সিআইডি’র আরও একটি দলের তদন্তে আসার কথা।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, ওই দোকানে লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক বিক্রি হয়। এয়ার গান বিক্রি ও মেরামত হয়। বিক্রি করা হয় কার্তুজও। শুক্রবার রাতে কোচবিহার শহরের হরিশ পাল চৌপথী লাগোয়া এলাকার ওই দোকানে চুরির ঘটনাটি ঘটে। একটি এক নলা ও ন’টি দোনলা বন্দুক, ১০টি এয়ারগান চুরি যায়। কয়েকটি বিদেশে তৈরি। সোমবার কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে পুলিশ কর্তারা। কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অ্যান্ড কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সম্পাদক রাজেন বৈদ বলেন, “জেলায় গত একমাসে অন্তত ২০ টি চুরি হয়েছে। ওই আগ্নেয়াস্ত্রের দোকানে চুরির ঘটনার পর আমাদের উদ্বেগ মারাত্মকভাবে বেড়েছে। ওই সব অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের উদ্বেগ কমবে না। রাতে পুলিশি টহল বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছি।” পুলিশ সূত্রের খবর, ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে রাতে পাহারা চালু, বড় প্রতিষ্ঠানে সি সি টিভি লাগানোর পরামর্শও বৈঠকে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার জেরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলের। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুস্কৃতীরা সেগুলি ব্যবহার করতে পারে বলেও আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। |