প্রয়াত আবু আতাউর বরকত গনি খান চৌধুরীর ‘পথ’-এ কারা হাঁটছেন তা নিয়ে ফের মালদহের কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের মধ্যেই তরজা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে নেতাজি মোড়ে শহিদ বেদীর সামনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন দুই মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ও কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। সেখানে নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর অভিযোগ, “গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জোটের নামে বজ্জাতি করেছে। তিনটি কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ছিল। কিন্তু কংগ্রেস দুই প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছে। গনি খানের নামকে কালিমালিপ্ত করেছে কংগ্রেস। ওরা নয়, বরকতদা আমাদের আদর্শ। তাঁর দেখানো পথেই মালদহে আমরা নতুন রূপে গড়ে তুলব। ওরা নির্বাচন এলেই প্রচার করে বেড়ায় যে মালদহ কংগ্রেসের মাটি, গনিখানের মাটি। গনি খানের নাম ভাঙিয়ে আর কতদিন চলবে? সেটা মানুষ বুঝে গিয়েছেন। দলের দু’জন সাংসদ। সাত জন বিধায়ক। জেলা পরিষদেও ক্ষমতাসীন কংগ্রেস। কিন্তু জেলার উন্নয়ন কি হয়েছে?” পাশাপাশি, কৃষ্ণেন্দুবাবু জানান, কংগ্রেসে থেকে উন্নয়ন করা যাচ্ছিল বলেই তিনি দল ছেড়েছেন।
বস্তুত, ইংরেজবাজারের উপনির্বাচনের খুব দেরি নেই। কৃষ্ণেন্দুবাবু পদত্যাগ করে মন্ত্রী হওয়ায় ৬ মাসের মধ্যেই তাঁকে ফের ভোটে জিততে হবে। সে কথা মাথায় রেখেই ‘গনি হাওয়া’ নিজেদের অনুকূলে টানতে তৃণমূল কংগ্রেস মাঠে নেমে পড়েছে বলে কংগ্রেস নেতারা অনেকে মনে করেন। জেলা কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক মোস্তাক আলম বলেন, “গনি খানকে আদর্শ বলে চেঁচালেই হয় না। কংগ্রেস ছাড়া অন্য কোনও পতাকা নিয়ে গনিখানের আদর্শ মানা যায় না। এ সব ভোট চাওয়ার কৌশল।”
এ দিন উপনির্বাচন ও পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বৈঠক করেছে জেলা কংগ্রেস। বৈঠক চলে বিকেল পর্যন্ত। সেখান থেকেই গনি খানের আদর্শ সামনে রেখে, তাঁর দেখানো পথে হেঁটে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়। বৈঠকের পর জেলা কংগ্রেস সভাপতি ডালুবাবু বলেন, “যাঁরা এখন এসব বলছেন, তাঁরা কংগ্রেসে থাকার সময় কি উন্নয়ন করেছেন? স্বার্থসিদ্ধির জন্য কংগ্রেস ছেড়ে এখন বাজে বকছেন ওঁরা।” |