জাল টাকার কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এক মহিলা সহ ২ জনকে আটক করেছে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর (ডিআরআই)। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে প্রধাননগর থানার জংশন এলাকায়। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৯৯টি এক হাজার টাকার নোট এবং ৭৯৮টি ৫০০ টাকার নোট রয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম রামপ্রবেশ সা এবং আশা সা। তাদের বাড়ি বিহারের মোতিহারিতে। রামপ্রবেশকে গ্রেফতার করেছে ডিআরআই। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ধৃত মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
ডিআরআইয়ের আইনজীবী রতন বণিক বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে। এর মধ্যে বিহার ও উত্তর দিনাজপুরের এক ব্যক্তির নাম জানা গিয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি, সিবিআই এবং পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে। তারাও ঘটনার তদন্ত করছে।” প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই দু’জন জাল টাকার কারবারের সঙ্গে জড়িত। তারা মূলত টাকা আনা নেওয়ার কাজে যুক্ত রয়েছে। বিহারের লালন সিংহ নামে এক ব্যক্তি টাকা পাচার চক্রের পাণ্ডাদের এক জন। ওই চক্র আসল টাকায় জাল টাকা কিনে নিয়ে তা বাজারে ছড়ানোর কাজ করে। লালনের নির্দেশেই আড়াই লক্ষ আসল টাকা নিয়ে সোমবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের দোমহনায় যান ধৃতরা। সেখানে একটি ধাবাতে শেখ নজির নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১০ লক্ষ জাল টাকা নেন। বিনিময়ে তার হাতে আড়াই লক্ষ আসল টাকা তুলে দেন। এর পরেই তারা বাস ধরে শিলিগুড়ির জংশন এলাকায় চলে যান। সেখান থেকে বাস ধরে মোতিহারি যাওয়ার কথা ছিল তাদের। গোয়েন্দারা খবর পেয়ে আগে থেকেই সেখানে নজরদারি করছিল। জংশন এলাকায় মোতিহারি যাওয়ার বাসের টিকিট কাটছিলেন তারা। সে সময় গোয়েন্দারা তাদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সন্দেহ হওয়ায় তাদের ডিআরআই অফিসে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। একটি ব্যাগ থেকে ওই টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই মহিলা। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অপরজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দাদের দাবি, শিলিগুড়িতে তারা দুই হাজার জাল টাকা খরচ করেছে। ওই নোটগুলি পাকিস্থান থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকেছে। প্রধাননগর থানার তরফে ওই ঘটনায় একটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিন ধৃতকে আদালতে তোলা হলে পাঁচদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। |