সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে ঘিরে এ বার একই মঞ্চে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব, মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তের সঙ্গে পুরসভার বিরোধী বাম দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলামও। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির সুভাষপল্লি এবং রবীন্দ্রনগরের মাঝে ফুলেশ্বরীর নদীর উপর ওই সেতু উদ্বোধন হয়। মন্ত্রী যে এলাকার বাসিন্দা এবং কাউন্সিলর সেই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডেই সেতুটি। এ দিন উদ্বোধন মঞ্চে উপস্থিত থেকে পুরসভার বিরোধী দল হিসাবে নুরুলবাবুরা গঠনমূলক কাজে সহযোগিতা করতে চান বলে জানান। অনুষ্ঠান মঞ্চে তাঁকে আমন্ত্রণ করে সেই সুযোগ দেওয়ায় পুর কর্তৃপক্ষ এবং মন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী, মেয়ররাও জানিয়েছে দেন বিরোধী দল বলে কোনও ব্যাপার নেই। সকলকে নিয়েই উন্নয়ন কাজে তাঁরা সামিল হতে চান। |
গৌতমবাবু বলেন, “কংগ্রেস, তৃণমূল বা বিরোধী সিপিএম বলে কোনও ব্যাপার নেই। সমস্ত ওয়ার্ডেই সমান নজর দিয়ে উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে।” ইতিমধ্যেই বিরোধী দলের অধীনে থাকা ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ৩টি বড় রাস্তা পুরসভা তৈরি করবে বলে ঠিক হয়েছে। গাঁধীনগর এলাকায় অপর একটি রাস্তা তৈরির জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল। ওই ওয়ার্ড বামেদের অধীনে থাকলেও রাস্তার কাজ করা হবে বলে তিনি এ দিন আশ্বাস দেন।
শিলিগুড়ি পুরসভার উদ্যোগে তৈরি ওই সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে উৎসাহী ছিলেন ওই এলাকার নদীর উভয় পাড়ের বাসিন্দারাই। বিশেষ করে ওপারে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অংশের বাসিন্দারা। এত দিন কাঠের নড়বড়ে সেতু পথে কোনও ক্রমে তাঁরা যাতায়াত করতেন। পাটাতন খুলে যাওয়া, নদীতে থাকা সেতুর খুঁটি নড়বড়ে হয়ে যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। গুরুতর অসুস্থ রোগীকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হলেও এই পথে অ্যাম্বুল্যান্স বা কোনও গাড়ি যাতায়াত করতে পারত না। অনেকটা ঘুরে অন্য রাস্তা দিয়ে যেতে হত। এত দিনে বাসিন্দাদের সেই সমস্যা মিটল। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা খরচ করে ওই পাকা সেতু তৈরি করা হয়েছে। বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে এসেছিলেন। পুরসভায় বামেরা ক্ষমতায় থাকার সময় থেকেই এলাকার কাউন্সিলর হিসাবে গৌতমবাবু ওই সেতু পাকা করতে সচেষ্ট ছিলেন। এ দিনে তা বাস্তবায়িত হল। |