ভুঁইফোঁড় সংস্থাগুলির ধাক্কায় মার খাচ্ছে সঞ্চয়
ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কার্যত হাত গুটিয়ে রেখেছে রাজ্য। মার খাচ্ছে রাজ্যের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প। এই বিষয়ে এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া।
বাম আমলে স্বল্প সঞ্চয়ে রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম স্থানে ছিল পশ্চিমবঙ্গ। অর্থ দফতরের এক সূত্র জানাচ্ছে, ২০০৯-১০ সালে রাজ্য স্বল্পসঞ্চয় প্রকল্প থেকে ৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছিল। পরের বছরে রাজ্য ঋণ নিতে পেরেছিল ১২ হাজার ১৯০ কোটি। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পরে ২০১১-১২ সালে ঋণের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা। চলতি আর্থিক বছরে রাজ্য এখনও ঋণ পায়নি। ওই সূত্র আরও জানাচ্ছে, চলতি আর্থিক বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত আট মাসে স্বল্প সঞ্চয় খাতে ২১০ কোটি টাকা নিট ঘাটতি (নেগেটিভ ব্যালান্স) হয়েছে। ব্যতিক্রম সেপ্টেম্বর মাস। ওই মাসে যত টাকা ডাকঘরগুলি থেকে তোলা হয়েছে, তার চেয়ে ২৫ কোটি টাকা বেশি জমা পড়েছে। নভেম্বরেও ৩৫ কোটি টাকা বেশি জমা পড়েছে। এক কর্তার কথায়, ভুঁইফোঁড় সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিলেই ফল মিলবে। নভেম্বরে অতিরিক্ত সঞ্চয়ই তার প্রমাণ।
মানসবাবুর প্রশ্নও রাজ্যের সদিচ্ছা নিয়েই। তাঁর বক্তব্য, সেবি ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা অমান্য করে চলা সংস্থাগুলি বিপুল লাভের আশ্বাস দেয়। ফলে, স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প থেকে টাকা সরিয়ে ওই সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ করছেন মানুষ। পরে তাঁরা সর্বস্বান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে টাকা রাখার প্রবণতা কমায় রাজ্যের উন্নয়নও ধাক্কা খাচ্ছে বলে দাবি মানসবাবুর। দফতরের কর্তাদের মতে, কেন্দ্র কিষাণ বিকাশ পত্র কেনার প্রকল্পটি তুলে দেওয়াতেও সমস্যা হয়েছে। এই প্রকল্পে যত খুশি টাকা রাখার সুবিধা থাকায় কালো টাকা সাদা করার সুযোগ ছিল। ডাকঘরের অন্য প্রকল্পে টাকা রাখতে কেওয়াইসি জমা দিতে হয়। ফলে অনেকেই ভুঁইফোঁড় সংস্থায় টাকা রাখছেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.