১ জানুয়ারিও ছুটির কথা ভাবছেন মমতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ইংরেজি বছরের শুরুর দিনটায় অফিস করতে হল বলে আফশোস করেছেন যাঁরা, আগামী বছরে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে ভরসা রাখতে পারেন! অন্তত এই পয়লা জানুয়ারিতে মহাকরণ ছাড়ার সময়ে যে ইঙ্গিত তিনি দিয়ে গেলেন, তাতে ২০১৪-র ওই দিনটা সরকারি ক্যালেন্ডারে লাল কালিতে দাগানো থাকার সম্ভাবনা প্রবল। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, “পয়লা জানুয়ারি ছুটি দেওয়ার কথা ভাবছি।”
মমতা ক্ষমতায় আসা ইস্তক সরকারি অফিসে কর্মসংস্কৃতি ফেরানোর কথা বললেও কার্যত ছুটির সংস্কৃতিকেই মদত দিয়ে চলেছেন বলে প্রশাসনিক মহলের একাংশের অভিযোগ। এঁদের বক্তব্য: গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি বাম দলগুলোর ডাকা বন্ধের দিনে গরহাজির সরকারি কর্মীদের বেতন কাটার নির্দেশ দিয়েছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী, তিনিই এখন একের পর এক ছুটি ঘোষণা করে চলেছেন! মমতার অবশ্য যুক্তি, সরকারি কর্মীরা প্রাণপাত করে কাজ করছেন। তার পুরস্কার হিসেবেই ওঁদের ছুটি প্রাপ্য।
সে জন্যই বিদায়ী বছরে দুর্গাপুজোর সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যে টানা দশ দিন ছুটি ভোগ করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ক্যালেন্ডারের হিসেবে পুজো-লক্ষ্মীপুজোর মধ্যে শুধু দ্বাদশীর দিনই ছিল সরকারি কর্মদিবস। সেই দিনটি ছুটি দিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। চলতি বছরে পুজো থেকে লক্ষ্মীপুজোর মধ্যে সরকারি কর্মদিবস শুধু ত্রয়োদশী। এবং মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় চলতি বছরেও ফের সরকারি কর্মীরা একটানা দশ দিন ছুটি পাচ্ছেন, কারণ নজিরবিহীন ভাবে ইতিমধ্যেই ত্রয়োদশীতে ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছেন মমতা। শুধু তা-ই নয়, সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যাঁরা বিহারি বা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী, তাঁদের জন্য যথাক্রমে ছট ও বুদ্ধজয়ন্তীতে ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
এ বার ছুটির তালিকায় ১ জানুয়ারিরও ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা। এ হেন প্রবণতাকে সরকারি কর্তাদের একাংশ কর্মসংস্কৃতি ও রাজ্যের ভাবমূর্তির পক্ষে অন্তরায় হিসেবে দেখলেও ঘনিষ্ঠমহলে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, “এমনিতেই পয়লা জানুয়ারি সকলে ছুটির মেজাজে থাকে। সরকারি কাজকর্ম বিশেষ হয় না। তাই ছুটি দেব ভাবছি।”
এ দিন অবশ্য মহাকরণে কিছু কর্মী অনুপস্থিত থাকলেও অন্যান্য দিনের মতোই কাজ হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী দুপুরে এলেও অধিকাংশ মন্ত্রী মহাকরণ-মুখো হননি। তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন নানা অনুষ্ঠানে।
১ জানুয়ারি যে তৃণমূলেরও জন্মদিন! |