অনেক জায়গাতেই ছিল পুরোদস্তুর রাজনৈতিক প্রস্তুতি। কোথাও কোথাও তা মর্যাদার লড়াইও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন ও তার ফলাফলকে ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনা এখন জোরকদমে চলছে।
রবিবার দুই জেলার যে সব স্কুলে নির্বাচন হল, তার মধ্যে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যে ক’টির ফলাফল জানা গিয়েছে, তার মধ্যে দেখা যাচ্ছে শাসক দল হেরে গিয়েছে ৮টি স্কুলে।
বনগাঁর ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েত এলাকার নরহরিপুর সারদাচরণ বিদ্যাপীঠে ৬টি আসনেই জেতে সিপিএম। গত বারের ভোটে সিপিএম ২টি এবং তৃণমূল পেয়েছিল ৪টি আসন। ছয়ঘরিয়ার অন্যতম বড় এই স্কুলের ভোট দু’পক্ষের কাছেই ছিল মর্যাদার লড়াই। হারের পরে তৃণমূলের একাংশের দাবি, প্রার্থী নির্বাচন সঠিক ছিল না। স্থানীয় নেতৃত্বের দক্ষতারও অভাব ছিল। তৃণমূল নেতা সন্তোষ দাস বলেন, “কেন এই হার তা আমরা খতিয়ে দেখছি।”
বাগদার রনঘাট পঞ্চায়েতের আউলডাঙা অমূল্যধন রায় বিদ্যাপীঠের নির্বাচনেও সব ক’টি আসনে জেতে বামেরা। গতবার জিতেছিল তৃণমূল। বনগাঁর গৌরীসুন্দরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে কংগ্রেসকে হারিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখে তৃণমূল। সিপিএম এ বার এখানে প্রার্থী দেয়নি।
গোপালনগরের চৌবেরিয়া অন্নদাসুন্দরী বালিকা বিদ্যালয়, গাইঘাটার আমবৌলা পঞ্চগ্রাম হাইস্কুল এবং ঝিকরা হাইস্কুলে ক্ষমতা ধরে রাখল তৃণমূল। গোবরডাঙা গার্লস হাইস্কুলেও তারা জিতেছে।
বনগাঁর বল্লভপুর হাইস্কুল, মিনাখাঁর উত্তর আখড়াতলা সহদেব মেমোরিয়াল হাইস্কুল এবং হাসনাবাদের ডিপি ইনস্টিটিউট, হাসনাবাদের ভবানীপুর যোগেন্দ্র মাইতি হাইস্কুল এবং সন্দেশখালির জোড়াকাঠি মিলনগড় বিদ্যানিকেতনে জিতেছে সিপিএম। তবে, মিলনগড় বিদ্যানিকেতনে সিপিএমের বিরোধী পক্ষ ছিল বিজেপি।
অন্য দিকে, সন্দেশখালি ঢেকনামারি ডি এ হাইস্কুল এবং হাসনাবাদের পূর্ব খেজুরবেড়িয়া হাইস্কুলে জিতে গিয়েছে শাসক দল। হিঙ্গলগঞ্জের মামুদপুর জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৃণমূল ও সিপিএমের আসনসংখ্যা সমান সমান।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের হরিণবাড়ি যুধিষ্ঠির আদর্শ শিক্ষায়তন হাইস্কুলের ৬টি আসনেই জিতে যান সিপিএম প্রার্থীরা। আগে ওই স্কুলের পরিচালন সমিতি ছিল তৃণমূলের দখলে।
পাথরপ্রতিমা পশ্চিম সুরেন্দ্রপুর আদর্শ বাণীপীঠ স্কুলেও জেতে সিপিএম। আগে ওই স্কুলে ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল ও কংগ্রেস জোট। রায়দিঘির চাপলা হাইস্কুলে সিপিএম ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলেও তৃণমূলের কাছে দু’টি আসন হারাতে হয়েছে। কুলপির গুমুকবেড়িয়া হাইস্কুলে অবশ্য তৃণমূল ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে। |