সরাসরি হারের লজ্জা বাঁচাতে শেষ দিনটা আর টিকে থাকতে পারলেন না বাংলার ব্যাটসম্যানরা। আগের দিন রোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এ দিন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, অরিন্দম দাস, ঋদ্ধিমান সাহা, অভিষেক ঝুনঝুনওয়ালারা প্রায় উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে চলে এলেন।
অরিন্দম (৪০), সন্দীপন (৬২) ও দেবব্রত দাস (৪৪) অবশ্য লড়াইয়ের একটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের চেষ্টা কাজে এল না। মঙ্গলবার সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে করণ শর্মা (৪-৪৬), অনুপ্রীত কাঠুরিয়া (৩-৬০), সঞ্জয় বাঙ্গারদের (২-৪৩) দাপটে বাংলা সাড়ে ৭২ ওভারের বেশি খেলতেই পারল না। ২৪৯ রানেই শেষ তারা। গ্রুপের পাঁচ নম্বরে থাকা রেলের কাছে হার ১২২ রানে। আট ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট বাংলার। অবনমনের খপ্পরে পড়া হায়দরাবাদ ছাড়া কাউকে হারাতে পারেনি বাংলা। সেই ম্যাচে ছয় পয়েন্ট পায় বাংলা। বাকি সাতটি ম্যাচ থেকে সাত পয়েন্ট তাদের। চারটি ম্যাচে সরাসরি হেরেছে বাংলা। |
শেষ ম্যাচেও হার ঋদ্ধিমানের দলের। —নিজস্ব চিত্র। |
কোচ ডব্লু ভি রামন এই ব্যর্থতার পর পরিষ্কার বললেন, “এদের দক্ষতা নেই। রঞ্জি ট্রফির মতো জায়গায় খেলার মতো মানসিকতাও তৈরি হয়নি এদের। অফ সিজনে প্র্যাক্টিসে না থাকাটাও এই ব্যর্থতার অন্যতম কারণ।” এগুলো এত পরে বুঝলেন কেন এই প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার, এটাই বড় প্রশ্ন।
জয়পুরে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রাজস্থান এক পয়েন্ট না পেলে বাংলার নয় দলের মধ্যে সাত নম্বর জায়গাটাও জুটত না। ম্যাচ থেকে ছ’পয়েন্ট তুললেও রাজকোটে সৌরাষ্ট্র মধ্যপ্রদেশকে ছয় পয়েন্ট নিয়ে হারানোয় রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া হল না রেলের। হতাশায় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসরই নিয়ে নিলেন সঞ্জয় বাঙ্গার।
দিল্লিতে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির রাজ্য ঝাড়খন্ড সার্ভিসেসকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে ‘সি’ গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে পড়লেও কেরল অন্ধ্রর বিরুদ্ধে শেষ ওভারে ১৭ রান করে দিলে তাদের সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যেত। কম আলোর জন্য শেষ ওভার হতেই পারল না। এই গ্রুপের সার্ভিসেসও শেষ আটে। গুজরাতের সঙ্গে ড্র করেই শেষ আটে চলে গেল মুম্বই। আগামী রবিবার থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে ঘরের মাঠে তারা মুখোমুখি হবে বরোদার। জামশেদপুরে ঝাড়খন্ড ও পঞ্জাবের লড়াই। রাজকোটে সৌরাষ্ট্র বনাম কর্নাটক ও ইন্দওরে মুখোমুখি হবে উত্তর প্রদেশ ও সার্ভিসেস। |