মোহনবাগান নিয়ে সিদ্ধান্ত
জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে

মোহনবাগানের শাস্তি আদৌ কমবে কি না তার ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে সম্ভবত জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে। ফেডারেশন সূত্রের খবর, ৯ বা ১০ জানুয়ারি ডাকা হতে পারে ফেডারেশন কর্মসমিতির বৈঠক। গোয়ায় ছুটি কাটাতে যাওয়া এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল সে রকমই চাইছেন। ফেডারেশন সচিব কুশল দাসও এস এম এসে জানিয়ে দিলেন, “সম্ভবত কোর কমিটির বৈঠকের আগেই কর্মসমিতির বৈঠক হবে।” শাস্তি নির্ধারক সভার পর ঠিক হয়েছিল ৯ জানুয়ারি আই লিগের কোর কমিটির বৈঠক হবে। সেটা আপাতত স্থগিত থাকছে।
কিন্তু ডার্বি ম্যাচে দল তুলে নেওয়ার জন্য আড়াই বছরের নির্বাসন কতটা কমতে পারে? টোলগেদের নিয়ে দু’রকম কথা শোনা যাচ্ছে। সবুজ-মেরুনের কর্তারা নতজানু হয়ে কার্যত ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় একদল কর্তা কিছুটা নরম। অন্য পক্ষ অবশ্য চাইছে, উচিত শিক্ষা দিতে কঠোর শাস্তিই বহাল থাক। তবে সবটাই নির্ভর করছে প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলের মনোভাবের উপর। কর্মসমিতির বেশির ভাগ সদস্যই তাঁর লোক। মোহন কর্তারা ধরে নিয়েছেন, শাস্তি কমবেই। তবে সেটা কতটা তা নিয়ে তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। ঘনিষ্ঠ মহলে কর্তারা বলছেন, এ বছরটা মনে হয় আর আই লিগ খেলতে পারবেন না টোলগেরা। সেটা যদি হয় তা হলে পরের বার আই লিগ টু-তে খেলতে হবে মোহনবাগানকে। সে ক্ষেত্রে পুরো দলটাই ভেঙে যাবে। স্পনসর ইউ বি-ও টাকা কমিয়ে দেবে। আপাতত এই আশঙ্কায় রাতের ঘুম চলে গিয়েছে মোহন কর্তাদের। মোহনবাগানের শাস্তি কমলে ইস্টবেঙ্গল কি প্রতিবাদ জানাবে? লাল-হলুদের প্রধান কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “আইনে যদি শাস্তি কমানোর নিয়ম থাকে, কমবে। আমাদের কী বলার আছে।” ফেডারেশনকেও একটি চিঠি দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সেখানে লেখা হয়েছে, “ইস্টবেঙ্গল এবং প্রয়াগের সঙ্গে মোহনবাগানকেও শাস্তি দিয়েছেন আপনারা। ফুটবলের শৃঙ্খলা আনতে আপনারা যা করছেন, সেটা ভবিষ্যতেও যেন বজায় থাকে।”
তিন দিন বন্ধ থাকার পর আজ বুধবার সকালে আবার শুরু হচ্ছে করিম বেঞ্চারিফার দলের অনুশীলন। মাঠে ফিরছেন ডার্বি ম্যাচে চোট পাওয়া রহিম নবি। তবে টোলগে-নবিদের অবশ্য দেখতে পাবেন না ক্লাবের সমর্থকরা। সদস্যদেরও কার্ড দেখিয়ে মাঠে ঢুকতে হবে। সংবাদমাধ্যমকেও। বন্ধ থাকছে ক্যান্টিনও। বিক্ষোভের ভয়ে কর্তারা কার্যত মঙ্গলবার থেকেই তাঁবুতে জারি করেছিলেন কারফিউ। গেটের সামনে পুলিশ এবং বেসরকারি নিরপত্তারক্ষীরা ছিল বুধবারও। নববর্ষের শুরুর দিনে শহর জুড়ে যখন উৎসবের আলো, তখন শতবর্ষপ্রাচীন ক্লাবে শুধুই অন্ধকার। ডার্বি কাণ্ডের জন্য বড় কর্তারা কেউ পদত্যাগ না করলেও এ দিন রাতে ক্লাবে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন কার্যকরী সমিতির সদস্য বীরু চট্টোপাধ্যায়। সচিব অঞ্জন মিত্র অসুস্থ। বাকি কোনও বড় কর্তাই আসেননি। সন্ধ্যায় ক্লাব-তাঁবুতে গিয়ে দেখা গেল, যে-লন কয়েক দিন আগেও জমজমাট থাকত, সেখানে কোনও লোকই নেই। মাঠ সচিব-সহ জনা দশেক সদস্য উপস্থিত। কারফিউ থাকলে যা হয়!




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.