টনি গ্রেগের মৃত্যুর ৭২ ঘন্টা পর মারণ ক্যানসার কেড়ে নিল ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত আরও এক ব্যক্তিত্বকে। এ বার ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার, সাংবাদিক ও প্রশাসক ক্রিস্টোফার মার্টিন জেনকিন্সের পালা। গত জানুয়ারিতে ক্যানসার ধরা পড়ে তাঁর শরীরে। মঙ্গলবার ৬৭ বছর বয়সে চিরবিদায় নিলেন তিনি। গ্রেগের মতোই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে।
গত সোমবার প্রয়াত টনি গ্রেগকে নিয়ে লন্ডনের টাইমস-এ তিনি লিখেছিলেন, “ঈশ্বর সম্ভবত তাঁকে ক্ষমা করেছিলেন বলেই এ ভাবে শান্তিতে চলে যেতে পারলেন। ক্যানসারের আক্রমণে মারা যাওয়া যে কী নারকীয়, তা কল্পনা করতেও ভয় হয়।” ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্যানসারই থাবা বসাল তাঁর হৃদযন্ত্রে। ১৯৭০-এ বিবিসি-তে যোগ দেন ক্রিস্টোফার। সেই থেকেই তাঁর ক্রিকেট সাংবাদিকতার শুরু। ‘ক্রিকেটার’ ম্যাগাজিন, ‘দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ’ এবং ‘টাইমস’-এর ক্রিকেট লিখিয়ের ভূমিকা পালন করেছেন দীর্ঘ সময়। বিখ্যাত ‘টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল’-এর জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকারের ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। |
ক্রিস্টোফার মার্টিন-জেনকিন্স এবং প্রিন্স চার্লস। ‘মেম্বার অফ ব্রিটিশ এম্পায়ার’ গ্রহণের মুহূর্ত। ছবি: গেটি ইমেজেস |
বছর তিনেক আগে ‘মেম্বার অফ ব্রিটিশ এম্পায়ার সম্মানে ভূষিত হন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আঙিনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকলেও ‘সিএমজে’ বলতেন, “আমাদের এখন কিন্তু শুধু ইংল্যান্ড টিম নিয়ে ভাবলেই চলবে না। মনে রাখতে হবে ক্রিকেটার উঠে আসে কাউন্টি ম্যাচগুলো থেকে। আমাদের সেই কাউন্টি ম্যাচগুলোর উপরেই আপাতত বেশি করে নজর রাখতে হবে। তা হলেই দেখবেন, আগামী দিনের তারকা ইংরেজ ক্রিকেটার উঠে আসবে অনায়াসেই।”
২০১০-১১-য় তিনি এমসিসি-র সভাপতির পদও পেয়েছিলেন। এমসিসি-র হয়ে ৬৭টি ম্যাচও খেলেছিলেন তিনি। ফলে তাঁর চলে যাওয়ার খবরে শোকাহত এমসিসি কর্তা ও সদস্যরা। ২০০৭-এ তিনি ‘এমসিসি স্পিরিট অফ ক্রিকেট কাউড্রে লেকচার’ দেন একমাত্র ক্রিকেট সাংবাদিক হিসেবে। এর আগে প্রত্যেকবারই কোনও ক্রিকেটার এই বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেতেন। ইয়ান বোথাম থেকে ডেরেক প্রিঙ্গল। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত গোটা বিশ্বের ক্রিকেট মহল। পাশাপাশি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান জাইলস ক্লার্কও এ দিন শোকবার্তা পাঠিয়েছেন।
ক্যানসারের হানায় ইংল্যান্ডের ক্রিকেট মহল ফের হারাল এক জনপ্রিয় তারকাকে। |