|
|
|
|
গাড়ি চুরি চক্রে গ্রেফতার তিন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তল্লাশিতে নেমে এক গাড়ি চুরি চক্রের হদিশ পেল বেলদা থানার পুলিশ। এই চক্রের সঙ্গে ৮-১০ জন যুবক জড়িত বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। ইতিমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ধৃতদের ৪ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে সব মিলিয়ে ৭টি মোটর সাইকেল, ১টি মারুতি ভ্যান। ধৃতদের জেরা করেও আরও চুরি যাওয়া গাড়ি উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতেই আরও ২টি মোটর সাইকেল উদ্ধার হয়েছে। বেলদা থানার ওসি পলাশ মিত্র বলেন, “ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। চক্রের সঙ্গে কার কার যোগসাজশ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এক সময় খড়্গপুর শহর ও তার আশপাশের এলাকায় প্রায়শই চুরির ঘটনা ঘটত। মেদিনীপুর শহরেও ইদানীং বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনার সঙ্গে কয়েকটি দুষ্টচক্র সক্রিয় বলেই অভিযোগ। নারায়ণগড়, বেলদা, ডেবরা, দাঁতন প্রভৃতি এলাকা থেকেও সাইকেল- মোটর সাইকেল চুরি হয়। জেলাবাসীর বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে পুলিশকে আরও তৎপর হতে হবে। দুস্কৃতীদের খোঁজে লাগাতার অভিযান চালাতে হবে। না-হলে পরিস্থিতি একই রয়ে যাবে। কয়েক মাস আগে খড়্গপুরে লোকাল থানা এলাকায় এক বাইক চুরি চক্রের হদিশ মেলে। ওই সময় খড়্গপুরের সাদাতপুর ও তার আশপাশের এলাকা থেকে প্রায় রোজই মোটর বাইক চুরি হচ্ছিল। তদন্তে নেমেও দুষ্কৃতীদের খোঁজ পাচ্ছিল না পুলিশ। শেষমেশ পুলিশের হাতে ধরা পরে যুবক স্বীকার করেন, এক সপ্তাহে ৮ টি বাইক চুরির ঘটনার সঙ্গে সে যুক্ত। ওই যুবককে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
এ বার একই ঘটনা ঘটল বেলদা থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, এক সূত্রের খবরের প্রেক্ষিতে শুরুতে শেখ আজিজুল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পরে শেখ নওসাদ মল্লিক ও গোপাল পাল নামে আরও দু’জন যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে আজিজুল ও নওসাদের বাড়ি দাঁতন ২ ব্লকের সাবড়ায়। গোপালের বাড়ি ওই ব্লকেরই বাস্তুপুরে। ধৃতদের জেরা করে আরও কয়েকজন যুবকের নাম পেয়েছে পুলিশ। যারা গাড়ি চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত। ওই যুবকদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে। বেলদা থানার ওসি বলেন, “বিভিন্ন এলাকা থেকে মারুতি ভ্যান ও মোটর সাইকেলগুলো উদ্ধার হয়েছে। তদন্তে সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|