‘শব্দ-সন্ত্রাস’ বন্ধে আর্জি মানসের |
নতুন বছরের শুরুতে রাজ্য-রাজনীতিতে ‘শব্দ-সন্ত্রাস’ বন্ধ করার জন্য নেতা-নেত্রীদের কাছে আবেদন জানালেন কংগ্রেস নেতা-বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। প্রায় প্রতিদিন শাসক বা বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা যে ধরনের অশালীন শব্দ ব্যবহার করছেন, তাতে নতুন প্রজন্মের কাছে রাজনীতি সম্পর্কে ঘৃণা তৈরি হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। অবশ্য বছরের প্রথম দিনও নেতাদের বাক্ সংযমের বিশেষ লক্ষণ দেখা যায়নি!
মানসবাবুর আবেদনের প্রেক্ষিত ২৪ ঘণ্টা আগে কেন্দ্রীয় সরকার সম্পর্কে সিপিএম নেতা আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ। মানসবাবু দাবি করেন, রেজ্জাককে ক্ষমা চাইতে হবে। তাঁর কথায়, “এর আগে সিপিএমের আনিসুর রহমান বাংলার মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। এর পর কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেছেন রেজ্জাক। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী ও মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।”
এই দাবি অবশ্য খারিজ করে দেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর মতে, “রেজ্জাক এমন কিছু বলেননি, যা নিয়ে হইচই করতে হবে! ইসলামি ঐতিহ্য ও ভাষা অনুসারে ওই চালু শব্দের অর্থ যাঁরা জানেন, তাঁরা আশা করি ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলবেন না!”
আনিসুর মুখ্যমন্ত্রীর পা ধরে ক্ষমা না-চাইলে শরিয়তি বিধান মেনে তাঁর বিচার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম। ইসলামপুরে এক জনসভায় রাজ্যের জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী মন্তব্য করেছেন, আনিসুর কান ধরে ওঠবোস করলে তাঁকে ক্ষমা করা যেতে পারে! সূর্যর বক্তব্য, “আনিসুর ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। এক অপরাধের জন্য কত বার বিচার হবে? এর পর কি তালিবানি শাসনের কথাও শুনতে হবে?” বারাসতের সন্তোষপুরে এক সভায় রাজ্যের আর এক মন্ত্রী বেচারাম মান্নাও কংগ্রেস নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীপা দাশমুন্সিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ অব্যাহত রেখেছেন। |