নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
বড়দিনে মদ খাওয়ার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আরামবাগ মহকুমার পিকনিক স্পটগুলিতে অশান্তি এড়াতে সফল হয়েছিল পুলিশ। বর্ষবরণের দুপুরেও পুলিশের সেই তৎপরতা ছিল। তবু, পুলিশি টহলদারির ফাঁকে মদ খাওয়া এবং তার জেরে এক কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ এড়ানো গেল না।
আরামবাগ শহরের কাছেই দ্বারকেশ্বর নদীর ধারে সরকারি কৃষি খামার সংলগ্ন একটি পিকনিক স্পটে ওই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ওই কিশোরীও। টহলরত পুলিশ গিয়েই গোলমাল থামায়। গ্রেফতার করা হয় পাঁচ জনকে। গুরুতর জখম বছর সতেরোর ওই কিশোরীকে প্রথমে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে স্থানান্তরিত করানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তার মাথায় আঘাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। |
এসডিপিও (আরামবাগ) শিবপ্রসাদ পাত্র বলেন, “ঘটনাস্থল থেকেই সংঘর্ষে জড়িত অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই কিশোরীর শ্লীলতাহানির মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” পুলিশি টহলদারি থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই ঘটনা ঘটল? উত্তরে এসডিপিও জানান, বড়দিনের চেয়ে এ দিন সব পিকনিক স্পটেই ভিড় বেশি ছিল। তা সত্ত্বেও পুলিশ যথাসাধ্য চেষ্টা করে বেশ কয়েকটি জায়গায় মদ খাওয়া আটকেছে বলে তাঁর দাবি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হোড়পুরের গয়লাপাড়া থেকে ওই কিশোরী-সহ সাত জনের একটি দল কৃষি খামার সংলগ্ন এলাকায় মঙ্গলবার পিকনিক করতে আসে। কিছুটা তফাতে পিকনিক করছিল ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দৌলতপুরের কিছু যুবক। হোড়পুর থেকে যাওয়া ওই কিশোরী পিকনিকের সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার সময়ে দল থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে। সেই সুযোগে দৌলতপুরের বাবু মাজি এবং গঙ্গা পাত্র নামে দুই যুবক ওই কিশোরীকে কটূক্তি ও তার শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। কিশোরীর চেঁচামেচিতে তার দলের ছেলেরাও চলে এলে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। ওই কিশোরীর অভিযোগ, “ওরা আমার শ্লীলতাহানি করেছে। প্রতিবাদ করায় প্রচণ্ড মারধরও করে।”
পুলিশ জানায়, বাবু মাজি এবং গঙ্গা পাত্র ছাড়াও আরও যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন রবীন মাজি, খোকন মল্লিক এবং সমীর সাঁতরা। শেষ দু’জন ওই কিশোরীর দলের। বাবু মাজি এবং গঙ্গা পাত্রের দাবি, “বেশি মদ খেয়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ায় তারা কিশোরীকে কটূক্তি করলেও শ্লীলতাহানি করেনি। তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।” |