|
|
|
|
লোক কাহিনী, গান সংরক্ষণে উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
বরাক উপত্যকার লোকগীতি ও লোক কাহিনী সংরক্ষণে উদ্যোগী হয়েছে আকাশবাণী শিলচর কেন্দ্র। সংগ্রহ, গ্রন্থনার পর এখন শুরু হয়েছে রেকর্ডিং। এই সংগ্রহ সম্প্রচার করা হবে ২০১৩ সালের বিভিন্ন সময়ে।
আকাশবাণী শিলচর কেন্দ্রের প্রোগ্রাম এগজিকিউটিভ দিব্যজ্যোতি পুরকায়স্থ জানান, লোক কাহিনীগুলিকে চিত্তাকর্ষক করতে প্রথমে তার নাট্যরূপ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে থাকছে গানও। মা-ঠাকুমার মুখে শোনা যে-সব গল্প এখন হারিয়ে যেতে বসেছে, সেগুলিকেই সংগ্রহ করে তার নাট্যরূপ দিয়েছেন শিলচর মহিলা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, দেবশ্রী দত্ত। ‘বর্ণালী’ নামে ৩০ মিনিট করে ১৩টি এপিসোডে সম্প্রচারিত হবে এই সংগ্রহ। প্রযোজনায় দিব্যজ্যোতিবাবুর সঙ্গে রয়েছেন আকাশবাণী শিলচর কেন্দ্রের ঘোষক, মনোজ দেবও। উপস্থাপনায় থাকবেন ন’জন নাট্যকর্মী, পাঁচ জন সংগীত শিল্পী এবং আট
জন যন্ত্রশিল্পী।
সম-সংখ্যক এপিসোডে সংরক্ষণ করা হবে লোকগীতিও। মোট সংগৃহিত গানের সংখ্যা ৭৮। ধামাইল, সারি, জারি, ভাওয়াইয়া, ঠাটকীর্তন, মালজোড়া প্রভৃতি। ১৩০টি গান সংগ্রহ করে সেখান থেকে এমন ৭৮টিকে বাছাই করা হয়েছে, যে গুলি এক সময় খুব গাওয়া হত, কিন্তু এখন আর শোনা যায় না। ১৬ জন যন্ত্রশিল্পীকে নিয়ে গানগুলি গেয়েছেন এই অঞ্চলের ৪০ জন কণ্ঠশিল্পী। ২০১৩-র জন্য তাঁরা আরও দুটি সংরক্ষণমূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছেন বলেও দিব্যজ্যোতিবাবু জানিয়েছেন। একটি হল, বরাক উপত্যকার ৩৬ জন বিশিষ্ট কবি-লেখকের রচনা এবং অন্যটি শিশুদের জন্য গানে-গানে গল্প বলা। কবি- লেখকদের অনুষ্ঠানে থাকবেন কাছাড়ের ১৮ জন, হাইলাকান্দির ১০ জন এবং করিমগঞ্জের ৮ জন। শিশুদের অনুষ্ঠানের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে দশটি গানের স্কুলকে। এর মধ্যে কাছাড় জেলার ৫টি, করিমগঞ্জের ৩টি এবং হাইলাকান্দির দু’টি গানের স্কুল রয়েছে। আকাশবাণী শিলচরের কর্মকর্তাদের দাবি, অনেক দিন থেকেই তাঁরা এই অঞ্চলের শিল্প-সংস্কৃতি ও সাহিত্য সংরক্ষণে গুরুত্ব দিয়ে চলেছেন। |
|
|
|
|
|