|
|
|
|
ভি এস-কে শিক্ষা কি না, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কলকাতায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কেরল-কাজিয়া নিষ্পত্তির ভার এ বার কলকাতার কাঁধে!
দল-বিরোধী কাজের দায়ে তিন জনের বহিষ্কারের সুপারিশকে ঘিরে কেরল সিপিএমে ফের সংঘাত বেধেছে ভি এস অচ্যুতানন্দন ও পিনারাই বিজয়নের। দুই গোষ্ঠীর চিরাচরিত লড়াই যাতে কেরলে ভূমি অধিকার নিয়ে দলের প্রচার-আন্দোলনে প্রভাব না ফেলে, তা নিশ্চিত করতে হিমসিম খাচ্ছেন সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব। তিন জনকে বহিষ্কারের সুপারিশ চূড়ান্ত হবে কলকাতায় আসন্ন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে। তার আগে পর্যন্ত ভি এস-কে এই ব্যাপারে মুখ না খোলার পরামর্শ দিয়েছে এ কে জি ভবন। একই সঙ্গে রাজ্য সম্পাদক বিজয়নকেও অনুরোধ করা হয়েছে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত আর কোনও মন্তব্য না-করার জন্য। এখনও পর্যন্ত অবশ্য দলের পরামর্শ মেনে চলে প্রকাশ কারাটকে স্বস্তিই দিয়েছেন ভি এস!
দলের গোপন নথি বাইরে তাঁরা ফাঁস করে দিচ্ছেন, এই অভিযোগে কেরলের বিরোধী দলনেতা ভি এসের ব্যক্তিগত সহায়ক এ সুরেশ, প্রেস সচিব কে বালাকৃষ্ণন এবং অতিরিক্ত ব্যক্তিগত সচিব ভি কে শশীধরনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি বসিয়েছিল রাজ্য সিপিএম। ভি এস-কে কাঠগড়ায় তুলে কোঝিকোড় পার্টি কংগ্রেসে পেশ করার জন্য যে সাংগঠনিক রিপোর্ট বিজয়ন তৈরি করেছিলেন, তা-ও ওই তিন জন ফাঁস করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আনেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব। এর জেরেই তিন জনকে প্রথমে কারণ দর্শাতে বলা হয়। কিন্তু তাঁদের বক্তব্যে দল খুশি নয়। কেরল রাজ্য কমিটির সাম্প্রতিক বৈঠকে শেষ পর্যন্ত ভাইকম বিশ্বম (কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং এলডিএফের আহ্বায়ক) সুপারিশ জমা দিয়েছেন, তিন জনকেই বহিষ্কার করা হোক। সিপিএমের নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য কমিটির এই সুপারিশ অনুমোদন করাতে হবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে। দলীয় সূত্রের খবর, ১৭-১৯ জানুয়ারি কলকাতার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকেই বিষয়টি উঠবে।
ভূমি অধিকার কর্মসূচির সূচনা উপলক্ষে মঙ্গলবার ভি এস ছিলেন কোচিতে। সেখানেই তিনি বলেছেন, “ওই শাস্তির সুপারিশ এখন কেন্দ্রীয় কমিটির বিবেচনাধীন। তারা কী সিদ্ধান্ত নেয়, আগে দেখি।” ত্রিশূরে গিয়ে বিজয়নও বলেছেন, “জমির অধিকারের দাবিতে এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের সময়।” সিপিএম সূত্রের খবর, কেরল থেকে তিন পলিটব্যুরো সদস্যের মধ্যে দু’জন ভি এস-অনুগামী তিন জনের চরম শাস্তিরই পক্ষপাতী। বাকি এক জন এবং এ কে জি-র তরফে সাধারণ সম্পাদক কারাট ও তাঁর সহযোগী এস আর পিল্লাই কী ভূমিকা নেবেন, তার উপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যের কথায়, “সামনের লোকসভা ভোটে কী প্রভাব পড়তে পারে, তা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।” ভি এস-কে বার্তা দিতে গিয়ে লোকসভা ভোটে ফের ধাক্কা খাওয়ার ঝুঁকি নিতে কারাট রাজি হবেন কি না, দেখতে চাইছে বিরোধী দলনেতার শিবির। |
|
|
|
|
|