|
|
|
|
২০ বছরের তরুণীকে কুপিয়ে খুন দিল্লিতে, ধৃত প্রধান অভিযুক্ত |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
নারী নির্যাতন থেকে মুক্তি নেই রাজধানীর। দিল্লিতে মেয়েরা যে একেবারেই সুরক্ষিত নয়, চোখে আঙুল দিয়ে আবার তা দেখিয়ে দিল আজকের ঘটনা। কল সেন্টারে কর্মরতা ২০ বছরের এক তরুণীকে কুপিয়ে খুন করল এক যুবক। মেয়েটির প্রতি সে অনুরক্ত ছিল বলেও এ দিন জানা গিয়েছে। সোমবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে দিল্লির নয়া অশোকনগর এলাকায়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মেয়েটির নাম নেহা যাদব। গত বছরের শুরুর দিকে নয়ডার এক কল সেন্টারে যোগ দেন তিনি। সোমবার তিনি তাঁর সহকর্মী গৌরব কারোদিয়া (২৪)-র সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। পুলিশকে গৌরব জানান, কিছু কেনাকাটা করে নিজের গাড়িতে করে ফিরছিলেন তাঁরা। এমন সময় বছর কুড়ির এক যুবক মোটরসাইকেলে করে এসে তাঁর গাড়ি আটকায়। তখন তাঁরা পূর্ব দিল্লির নয়া অশোকনগর এলাকার দাল্লুপুরা কাঠগোলা বাজারের কাছেই ছিলেন।
গাড়ি থেকে নেহাকে নেমে আসতে বাধ্য করে সে। ঝগড়া বেধে যায় তাঁদের মধ্যে। এর পরই সে মেয়েটির পেটে ছুরি চালিয়ে দেয়। বাঁচাতে গেলে হেলমেট দিয়ে গৌরবের মুখে মারে সে। কেটে যায় তাঁর মুখ। কাছেই এক পুলিশকে দেখে সাহায্য চাইতে ছুটে যান গৌরব। ইতিমধ্যে মেয়েটির পেটে আরও দু’বার ছুরি চালায় আততায়ী। সে মোটরসাইকেলে চড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কনস্টেবল ও গৌরব ধাওয়া করে ধরে ফেলে তাকে। লালবাহাদুর শাস্ত্রী হাসপাতালে নিয়ে গেলে তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম দেবেন্দ্র। সে নেহার প্রতিবেশী। ময়ূর বিহার এলাকার রাজবীর কলোনির বাসিন্দা নেহা। ছোটবেলা থেকেই তাদের বন্ধুত্ব ছিল। নেহার প্রতি অনুরক্ত ছিল দেবেন্দ্র। কিন্তু দেবেন্দ্রের প্রতি একই অনুভুতি ছিল না মেয়েটির। নেহা প্রত্যাখ্যান করেন তাঁকে। এতে ক্ষুব্ধ ছিল দেবেন্দ্র। তার উপর গৌরবের সঙ্গে নেহাকে দেখে রাগের বশেই সে মেয়েটিকে খুন করে বলে অনুমান পুলিশের। দেবেন্দ্রর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য ছুরি ও দেবেন্দ্রর জামাকাপড়-সহ সমস্ত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|