রাজ্যপালকে জানাল পুলিশ
পুরসভার আপত্তিতে বাতিল সভা, রিপোর্ট
প্রথমে অনুমতি দিয়েও পরে বিজেপি-র জনসভা বাতিল করার কারণ জানতে চেয়ে আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। পুরসভার আপত্তিতেই আসানসোলের ডামরায় ওই সভা করতে দেওয়া হয়নি বলে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট পাঠালেন পুলিশ কমিশনার।
১৯ ডিসেম্বর ডামরা হাটতলা ময়দানে জনসভার পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি-র জেলা কমিটি। আসার কথা ছিল দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের। এই সভার ব্যাপারে ৩ ডিসেম্বর এসিপি (সেন্ট্রাল) অজয় প্রসাদ ও ১৭ ডিসেম্বর এডিসিপি সুরেশ কুমার চাডিভ মাইক বাজানোর অনুমতি দেন। বিজেপি-র আসানসোল জেলা কমিটির সম্পাদক সভাপতি সিংহ জানান, ১৭ ডিসেম্বর রাতে এসিপি (সদর) তাঁকে ফোন করে জানান, জনসভা নিয়ে পুরসভার আপত্তি আছে। সভাপতিবাবু বলেন, “পর দিন সকালে আসানসোল দক্ষিণ থানায় গেলে এক পুলিশ অফিসার এসিপি-র একটি চিঠি দেন। তাতে এসিপি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের ওই জমি পুরসভার নিয়ন্ত্রণে আছে। মেয়র তাঁকে জানিয়েছেন, পুরসভা থেকে সভার অনুমতি নেওয়া হয়নি। ১৮ তারিখ বিকেল ৫টার মধ্যে পুরসভার অনুমতিপত্র এসিপি-র কাছে জমা না দিলে সভার অনুমতি দেওয়া যাবে না।”
সভাপতিবাবুর দাবি, এর পরে তাঁরা পুরভবনে গিয়ে মেয়রের দেখা পাননি। চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারির কাছে আবেদনপত্র দেন। চেয়ারম্যান কোনও অনুমতি দেননি। শেষ পর্যন্ত সভার অনুমতি মেলেনি। সভাপতিবাবুর ক্ষোভ, “এত দিন ওই মাঠে সভা করতে হলে স্থানীয় একটি ক্লাবের অনুমতি নিলেই চলত। এ বারও তা নেওয়া হয়েছিল। তবু সভা করতে দেওয়া হল না।” এর প্রতিবাদে বিজেপি-র রাজ্য কমিটির সম্পাদক রীতেশ তিওয়ারি রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন।
আসানসোল পুরসভার চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, ১৯ ডিসেম্বর বিকেল ৩টে নাগাদ আসানসোলের ছাত্র-যুব উৎসব নিয়ে কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল ওই মাঠে। ১৮ ডিসেম্বর বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে দেখা করলে তিনি অন্য কোনও দিন জনসভা করার অনুরোধ করেন। জিতেন্দ্রবাবুর কথায়, “অন্য দিন জনসভা করলে অসুবিধা নেই জানানো হলেও তাঁরা শোনেননি। উল্টে, আমাদের অফিসে তাণ্ডব চালায়।” স্থানীয় ক্লাবটির সম্পাদক স্বাধীন যশ বলেন, “অনুষ্ঠানের আগে আয়োজকেরা আমাদের কাছে মাঠে কোনও খেলা আছে কি না জানতে চায়। আমরা শুধু সে বিষয়টিই লিখিত ভাবে জানাই।”
পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ বলেন, “সব কিছু খতিয়ে না দেখে অনুমতি দেওয়া আমাদের ভুল হয়েছে। পুরসভার নিয়ন্ত্রণে থাকা রাজ্য সরকারের খাস জমিতে সভা করতে হলে পুর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। পুর কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানানোয় সভা বাতিল করা হয়। রাজ্যপালকে রিপোর্টে তা সবিস্তার জানানো হয়েছে।”
চড়ুইভাতি নিয়ে বচসা। পরিত্যক্ত খোলামুখ খনির সামনে চড়ুইভাতি করাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি হল কুমারডিহিতে। দু’জন মাথায় চোট পেয়েছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, স্থানীয় এবং বহিরাগত গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা থেকে মারামারি ঘটেছে। দু’জনকে আটক করা হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.