তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তিন জনের জখম হওয়ার অভিযোগ উঠল জামুড়িয়ার চুরুলিয়ায়। তাঁদের মধ্যে সাধন ঘোষ নামে এক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে চড়ুইভাতির সময়ে বিদু বাউরি ও পতিত রুইদাসের মধ্যে ঝামেলা হয়। তাঁরা দুই তৃণমূল নেতা ব্রজনারায়ণ রায় ও প্রদীপ মুখোপাধ্যায়ের অনুগামী বলে পরিচিত। তখন ঝামেলা মিটলেও দুপুরে ব্রজনারায়ণ-গোষ্ঠীর শান্তি মাঝি চুরুলিয়ার শেখপাড়ায় গেলে প্রদীপ-গোষ্ঠীর শেখ সালাই নামে এক জন তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। সন্ধ্যায় চুরুলিয়া মোড়ে সালাইকে পাল্টা মারধর করেন শান্তিবাবুরা। কিছুক্ষণ পরেই এলাকায় বোমাবাজি শুরু হয়ে যায়। তৃণমূলের জামুড়িয়া ব্লক সভাপতি পূর্ণশশী রায় জানান, বোমাবাজিতে ওই ব্যবসায়ী সাধনবাবু-সহ তিন জন আহত হয়েছেন। তাঁর দাবি, সিপিএম-সমর্থকেরা কৌশলে তৃণমূলে ঢুকে এমন ঘটাচ্ছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গত দেড় বছরে চুরুলিয়ায় অবৈধ কয়লা কারবার নিয়ে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল চলছে। পুলিশ জানায়, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এলাকায় নজর রাখা হয়েছে।
|
দুষ্কৃতীদের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ইসিএলের কুমারডিহি কোলিয়ারি চত্বরে। কর্তৃপক্ষ জানান, শুক্রবার দুষ্কৃতীরা বেশ কয়েকটি লোহার রড নিয়ে গিয়েছে। শনিবার ফের লোহা কাটতে এলে নিরাপত্তা রক্ষীরা শূন্যে দু’রাউন্ড গুলি ছোড়েন। দুষ্কৃতীরা লোহা কাটতে নিয়ে আসা গ্যাস কাটার এবং একটি মোবাইল ফেলে চলে যায় তারা। রবিবারও দু’শো মিটার বিদ্যুতের তার কেটে নিয়ে চলে যায় তারা। তার জেরে কুমারডিহি কোলিয়ারির মাঝিপাড়া ও সংলগ্ন এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে রয়েছে। খনি কর্তৃপক্ষের দাবি, বারবার নিমচা ফাঁড়িতে অভিযোগ জানানো হলেও কেউ ধরা না পড়ায় দুষ্কৃতীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। পুলিশ জানায়, তদন্ত চলছে।
|
চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। মঙ্গলবার মৃত ওই যুবকের নাম-পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যায় আসানসোল থেকে ধানবাদের দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। সেনর্যালে রোডের রেল টানেলের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে যুবকটি ট্রেন থেকে নীচে পড়ে যান। সেই সময়ে সেখানে দু’জন বসেছিলেন। ওই যুবক তাঁদের উপরে এসে পড়ায় এক জন জখম হন। তাঁকে আসানসোল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
|
জামুড়িয়ার রবীন্দ্রনাথ কলোনিতে আয়োজিত হল রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কল্পতরু উৎসব। সেখানে রামকৃষ্ণ, সারদাদেবী ও স্বামী বিবেকানন্দের মতাদর্শের প্রচারের উদ্দেশ্যে গঠিত প্রার্থনা উদ্যোগ শাখা পঙ্ক্তিভোজনের আয়োজন করে। এ দিন ৩২ জন মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেন। |