বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির জন্য তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি বলে দাবি করলেন রাজ্য বামফ্রন্টের মুখ্য সচেতক তথা সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমান। সেই সঙ্গে জানালেন জমি অধিগ্রহণের কাজে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার চাইলে বামফ্রন্টের তরফে সব রকম সাহায্য করা হবে।
বুধবার উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার হাইস্কুল মাঠে সারা ভারত কৃষক সভার জেলা সম্মেলনের সভায় এ কথা জানান আনিসুরবাবু। তিনি বলেন, “রায়গঞ্জে ওই হাসপাতাল তৈরির জন্য পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করে। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যায়। ভোট বিধির জেরে তা করা যায়নি।” তবে এখন রাজ্য সরকার চাইলে ওই জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারে সবরকম সাহায্য করা হবে বলে তিনি জানান। পাশপাশি, তাঁর অভিযোগ, বর্তমানে হাসপাতাল তৈরি নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল রাজনীতি শুরু করেছে।
উত্তর দিনাজপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য বলেন, “রাজ্য সরকার জোর করে কৃষিজমি নষ্ট করে হাসপাতাল তৈরির পক্ষে নয়। সরকারি জমি পেলে রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি করা হবে। বামফ্রন্ট পরিচালিত রাজ্য সরকার ৩৪ বছরে রাজ্যকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। তাই ওদের কোনও সহযোগিতা নেওয়ার প্রশ্নই নেই।” |
উত্তর দিনাজপুরের জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ জানান, ২০০৯ সালে কেন্দ্র রায়গঞ্জে হাসপাতাল তৈরির কথা ঘোষণা হয়। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়। তিনি বলেন, “দু’বছরেও কেন তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার জমি অধিগ্রহণ করতে পারল না পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বামফ্রন্ট নেতাদের সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। বর্তমানে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে জমি অধিগ্রহ ণ করছে না। দীপাদেবীর নেতৃত্বে কংগ্রেস আন্দোলন করে রায়গঞ্জেই ওই হাসপাতাল তৈরি করে দেখিয়ে দেবে।”
এ দিন সম্মেলনের প্রকাশ্য জনসভায় আনিসুরবাবু ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক বীরেশ্বর লাহিড়ী সহ কৃষকসভার রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। মঞ্চে সিপিএম নেতা বিনয় কোঙার থাকলেও বক্তব্য রাখেননি। জনসভাকে কেন্দ্র করে হাইস্কুল মাঠে মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল। আজ, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সম্মেলন চলবে। সংগঠনের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অপূর্ব পাল বলেন, “সম্মেলনে জেলার নয়টি ব্লক থেকে প্রায় ৩০০ প্রতিনিধি এসেছেন। ফসলের উপযুক্ত দামের দাবি-সহ চাষের উপকরণের দাম কমানোর দাবিতে জেলাজুড়ে আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক হবে।” |