রাস্তা খারাপ, ঘুরপথে মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
বুধবার সন্ধ্যায় কোচবিহারের পথে মমতা। আলিপুরদুয়ারের সাহেবপোতায় নারায়ণ দে-র তোলা ছবি।
আজ, মুখ্যমন্ত্রী আসতে পারেন চাপরামারি বনবাংলোয়। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক। |
শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি রাস্তা (৩১ডি জাতীয় সড়ক) পুরোপুরি বেহাল হয়ে পড়ায় বাগডোগরা থেকে সেবক, মালবাজার, চালসা, বীরপাড়া দিয়ে কোচবিহারে নিয়ে যাওয়া হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিন দিনের সফরে বুধবার উত্তরবঙ্গে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বেলা পৌনে ৩টে নাগাদ বাগডোগরায় পৌঁছে সাংবাদিকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলার পরে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি কোচবিহারে রওনা হন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি হয়ে কোচবিহার দূরত্ব (১৩৫ কিমি) অপেক্ষাকৃত কম হলেও সেখান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি। কারণ, ওই রাস্তার একটি বড় অংশ প্রায় তিন বছর ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে। সে জন্য তুলনায় ঘুরপথ (প্রায় ৩৫ কিমি বেশি) হলেও সেবক-মালবাজার-চালসা-ফালাকাটা দিয়ে নিয়ে যাওয়া মুখ্যমন্ত্রীকে। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, সেবক-চালসার রাস্তাটি শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির সড়কের তুলনায় ভাল অবস্থায় রয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সব দিক খতিয়ে দেখেই মুখ্যমন্ত্রীকে ওই রুটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোচবিহার সার্কিট হাউসে রাতে থাকার পরে আজ, বৃহস্পতিবার সেখানে পুন্ডিবাড়িতে কৃষি ঋণ মেলার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার নাগরাকাটায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানও ঋণ বিলি সহ নানা প্রকল্পের সূচনা করার কথা তাঁর। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোচবিহারে যান সাংসদ মুকুল রায়, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব সহ কয়েক জন মন্ত্রী। এ দিকে, মালবাজারের পথে (৩১সি জাতীয় সড়ক) মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। |
চুক্তির দ্রুত রূপায়ণ চায় মোর্চা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
পাহাড়ে আপাত শান্তি ফিরে এলেও জিটিএ চুক্তির দ্রুত রূপায়ণের দাবিতে দিল্লিতে সোচ্চার হল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। জিটিএ চুক্তি হওয়ার পর আজ ছিল প্রথম পর্যালোচনা বৈঠক। দিল্লিতে হওয়া ওই বৈঠকে কেন্দ্রের কাছে জিটিএ-র বার্ষিক বরাদ্দ বাড়িয়ে চারশো কোটি টাকা করার দাবি করেন প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব সুরেশ কুমারের সঙ্গে হওয়া ওই বৈঠকে ছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সচিব রোশন গিরি, বিধায়ক তিলক দিওয়ান। রাজ্যের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, জিটিএ-র মুখ্য সচিব সৌমিত্র মোহন। বৈঠকে আর্থিক দাবির বিষয়টি ছাড়াও পাহাড়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চল জিটিএ-র আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। গোর্খা সম্প্রদায়কে তফসিল জাতি ঘোষণা করার জন্য আজ ফের দাবি তোলেন রোশনরা। জিটিএ চুক্তির ফলে পাহাড় এখন শান্ত হলেও যে ভাবে চুক্তি রূপায়ণে দেরি হচ্ছে তাতে ক্ষুব্ধ জিটিএ নেতৃত্বের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের দাবিকে ফের প্রাসঙ্গিক করে তুলতে সক্রিয় মোর্চা। |
পরিদর্শন
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
ময়নাগুড়ির বটেশ্বর এলাকায় ছড়িয়ে থাকা প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান দেখলেন অনগ্রসর কল্যাণমন্ত্রী উপেন বিশ্বাস। বুধবার তিনি এলাকায় প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের ছবি সংগ্রহ করেন। রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের উত্তরবঙ্গ নোডাল সেন্টার কো-অর্ডিনেটর আনন্দগোপাল ঘোষ বলেন, “বটেশ্বরের প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান অবহেলিত পড়ে। সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য নানা দফতরে আর্জি জানানো হয়েছে। মন্ত্রী দেখে যাওয়ায় ভাল হল।” ময়নাগুড়ি শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে ভদ্রেশ্বর মন্দির জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে সুক্ষ্ম কারুকাজে ভরা পাথরের চাই। প্রাচীন কালের হাল্কা ইট। রয়েছে পাথরের চাঁই দিয়ে তৈরি স্থাপত্যের ধ্বংসাবশেষ। |
দিল্লিতে সরব মোর্চা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
পাহাড়ে আপাত শান্তি ফিরে এলেও জিটিএ চুক্তির দ্রুত রূপায়ণের দাবিতে দিল্লিতে সোচ্চার হল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। জিটিএ চুক্তি হওয়ার পর আজ ছিল প্রথম পর্যালোচনা বৈঠক। দিল্লিতে হওয়া ওই বৈঠকে কেন্দ্রের কাছে জিটিএ-র বার্ষিক বরাদ্দ বাড়িয়ে চারশো কোটি টাকা করার দাবি করেন প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব সুরেশ কুমারের সঙ্গে হওয়া ওই বৈঠকে ছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সচিব রোশন গিরি, বিধায়ক তিলক দিওয়ান। রাজ্যের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, জিটিএ-র মুখ্য সচিব সৌমিত্র মোহন। বৈঠকে আর্থিক দাবির বিষয়টি ছাড়াও পাহাড়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চল জিটিএ-র আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। গোর্খা সম্প্রদায়কে তফসিল জাতি ঘোষণা করার জন্য আজ ফের দাবি তোলেন রোশনরা। জিটিএ চুক্তির ফলে পাহাড় এখন শান্ত হলেও যে ভাবে চুক্তি রূপায়ণে দেরি হচ্ছে তাতে ক্ষুব্ধ জিটিএ নেতৃত্বের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের দাবিকে ফের প্রাসঙ্গিক করে তুলতে সক্রিয় মোর্চা। |
সংগঠনের নির্দেশ সদস্য কৃষকদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
কৃষকের থেকে সংগঠন যাতে বিচ্ছিন্ন না হয়ে পড়ে তার দিকে কর্মীদের নজর রাখার নির্দেশ দিল সিপিএমের কৃষক সংগঠন। বুধবার জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন ঘুঘুডাঙা মাঠে সংগঠনের জেলা সম্মেলন শেষ হয়েছে। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা সম্মেলনে নিজেদের দোষ, ক্রুটি শুধরে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সম্মেলনের শেষে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মদন ঘোষ বলেন, “দোষ-ত্রুটি শুধরে জনসংযোগ বাড়ানোর কথা আলোচনা হয়েছে।” |