নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
সংগঠন থেকে ‘বহিষ্কৃত’ নেতা জন বার্লাকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার, এই অভিযোগে আগামীকাল, শুক্রবার নাগরাকাটায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিল আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। বুধবার রাতে মালবাজারে পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা বৈঠকের পরে ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
পরিষদের রাজ্য সভাপতি বিরসা তিরকে বলেন, “নাগরাকাটায় মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি অনুষ্ঠানে আমাদের যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু, আমাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত জন বার্লাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সে জন্য আমরা ওই সভা বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে জন্য সব চা বাগানে প্রচারও করা হবে।”
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তেজকুমার টোপ্পো বলেন, “আমরা লক্ষ রাখব কত জন আদিবাসী ওই সভায় যান। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ওই মাঠেই আমরা পাল্টা সভা করব। সংখ্যারগরিষ্ঠ আদিবাসীরা কোন দিকে রয়েছেন সে দিনই স্পষ্ট হয়ে যাবে।”
এই বয়কটের ডাক ‘অনভিপ্রেত ও দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি চন্দন ভৌমিক। তিনি বলেন, “আদিবাসী সমাজ সহ তরাই-ডুয়ার্সের সব সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়নের চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অনুষ্ঠানে সকলকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। জন বার্লা কেন, কাউকে আলাদা করে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার প্রশ্ন নেই। আশা করব, সকলেই আসবেন। আমরা চাই সব আদিবাসী মানুষের উন্নতি হোক।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বিশদে খোঁজখবর নিয়ে মন্তব্য করবেন বলে জানিয়েছেন।
পরিষদ সূত্রের খবর, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রস্তাবিত গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে তরাই-ডুয়ার্সের অন্তর্ভুক্তির দাবির বিরোধিতা করে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ।
কিন্তু, বছর তিনেক আগে পরিষদের অন্যতম নেতা জন বার্লা মোর্চার সঙ্গে সহমত হন। বার্লা ও তাঁর অনুগামীদের পাশে পাওয়ায় মোর্চার পক্ষেও তরাই-ডুয়ার্সের দাবির পক্ষে জোরদার সওয়াল করা হয়। সেই সময়ে জন বার্লাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে পরিষদ। তবে জন বার্লা ও তাঁর অনুগামীরা এখনও মোর্চার সঙ্গেই রয়েছেন।
বয়কটের প্রসঙ্গে জন বার্লার অনুগামীরা জানান, আদিবাসীরা কোন দিকে রয়েছেন তা শুক্রবার নাগরাকাটায় ইউরোপিয়ান মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
|