উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ‘সুন্দরবন কাপ ২০১২’-এর ফাইনালে উঠল হাসনাবাদের আদিবাসীবৃন্দ। পয়েন্টের বিচারে সোমবার আদিবাসীবৃন্দ পরাজিত করে মিনাখাঁর চৈতল গ্রাম পঞ্চায়েতকে। আগামী জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে হাসনাবাদের দলটির সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়ী দলের মধ্যে ফাইনাল খেলা। গত ১৫ ডিসেম্বর সন্দেশখালির ঢেকনামারির হাইস্কুল মাঠে উপস্থিত থেকে সুন্দরবন কাপের উদ্বোধন করেছিলেন পুলিশের ডিআইজি (প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ) অনিল কুমার। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার সুগত সেন-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। প্রতিযোগিতায় যোগদান করেছিল এই জেলার সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হেমনগর, হাসনাবাদ, হাড়োয়া, মিনাখাঁ-এই ছ’টি থানার মোট ৪০টি পুরুষ ও ২টি মহিলা ফুটবল দল। মহিলাদের খেলায় ফাইনালে ওঠে সন্দেশখালির ওরাওজী সেবা মিশন।
হাসনাবাদ ফুটবল মাঠে হাসনাবাদের আদিবাসীবৃন্দ, মিনাখাঁর চৈতল গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সন্দেশখালির উজ্জ্বল সঙ্ঘএই তিনটি দলের মধ্যে লিগ প্রথায় খেলা হয়। সবথেকে বেশি পয়েন্ট পেয়ে প্রথম হয় হাসনাবাদের দলটি। দ্বিতীয় হয় মিনাখাঁর চৈতল গ্রাম পঞ্চায়েত। খেলায় সেরা ফুটবলারের সম্মান পায় মিনাখাঁ দলের বাপস মণ্ডল। প্রথম ও দ্বিতীয় দু’টি দলকে পুরস্কৃত করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বসিরহাটের মহকুমাশাসক শ্যামল মণ্ডল এবং বসিরহাটের পুলিশ আধিকারিক আনন্দ সরকার। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন থানার ওসি, সিআই সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। পুলিশ আধিকারিকেরা জানান, মূলত পুলিশ-জনতার মেলবন্ধন এবং ভাল ফুটবলার তৈরির সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ সুন্দরবন কাপ। এই প্রতিযোগিতায় খেলা ফুটবলারেরা আগামী দিনে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। সে জন্য সরকারি ভাবে প্রতি দলের খেলোয়াড়দের জীবনপঞ্জি নথিভুক্ত করা হয়েছে। ভাল খেলা ফুটবলারদের কলকাতায় নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং জার্মানিতেও পাঠানোর কথা ভাবছে সরকার। |