জীর্ণ কাঠের সেতু কংক্রিট করার দাবি
দীর্ঘ দিন ধরেই জীর্ণ দশা কাঠের সেতু দু’টির। একটার পর একটা পাটাতন ভেঙে দুর্ঘটনাও ঘটছে একাধিক। তবু হুঁশ নেই প্রশাসনের। সেই তিমিরেই ভগবানপুর ১ ব্লকের আশুতিয়া ও কোটবাড় গ্রামে কলাবেড়িয়া খালের সেতু দু’টি। ভগবানপুর ও ভূপতিনগর এলাকার মধ্যে যোগাযোগে এই সেতুর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বেহাল দশায় পড়ে থাকলেও পঞ্চায়েত বা সেচ দফতর কেউই সংস্কারের ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ। অথচ স্কুল কলেজে যাতায়াত থেকে, ব্যবসার কাজ, হাসপাতাল এমনকী রোজকার সাধারণ কাজেও এই সেতুই ভরসা এলাকাবাসীর। তাই এ বার এই কাঠের সেতুর বদলে কংক্রিটের সেতুর দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলাবেড়িয়া খালের উপরে প্রায় ৫০ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট চওড়া কাঠের সেতু দু’টি তৈরি হয়েছিল বছর আটেক আগে। কলাবেড়িয়া-মাধাখালি ও কোটবাড়-মাধাখালি রাস্তার উপরের এই সেতু দুটির উপর নির্ভরশীল ভগবানপুর ১ ও ২ ব্লকের কোটবাড়, কাজলাগড়, মুগবেড়িয়া, হরিপুর, রাধাপুর-সহ বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ। এমনকী যাত্রী ও পণ্য নিয়ে ছোট যানও পারপার করে এই সেতু দিয়ে।
কলাবেড়িয়া খালের জীর্ণ সেই সেতু। ছবি তুলেছেন কৌশিক মিশ্র।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খালে সারা বছরই জল থাকায় খুঁটিগুলি নড়বড়ে হয়ে পড়ে। অনেক সময় পাটাতনগুলি খুলে পড়ে বা ভেঙেও যায়। কিন্তু সেই অবস্থাতেও ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে বাধ্য হন নিত্যযাত্রীরা। অভিযোগ, গত এক বছরে সেতু দু’টির হাল আরও খারাপ হয়েছে। তা সত্ত্বেও সারানোর কোনও ব্যবস্থা নেয় নি প্রশাসন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। তাঁরা জানান, পঞ্চায়েত, প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন জানানো হলেও কোনও কাজ হয়নি। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সুব্রত মহাপাত্র বলেন, “পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের তরফে উপেক্ষা ছাড়া কিছুই জোটেনি। আমাদের দাবি, পুরোনো কাঠের সেতু সরিয়ে কংক্রিটের সেতু তৈরি করা হোক। দ্রুত কাজ শুরু না হলে আন্দোলনে নামব।” প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়রা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে বাঁশ বা কাঠ দিয়ে সেতু দু’টিকে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে তুলেছেন। ভগবানপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হারুণ রশিদ বলেন, “এলাকাবাসীর অভিযোগ ও দাবি সমর্থনযোগ্য। সেতু দু’টি তৈরি ও সংস্কারের দায়িত্ব সেচ দফতরের। তবে আমরাও কখনও কখনও করি। সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে। আমরাও চেষ্টা করছি তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার।” সেচ দফতরের কাঁথি বিভাগের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র স্বপন পণ্ডিত বলেন, “আশুতিয়ার কংক্রিটের সেতু তৈরি করার জন্য প্রায় এক কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি হয়েছে। সরকারি ভাবে অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু করা হবে। কোটবাড় সেতুটির বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখে নতুন কাঠের সেতু নির্মাণ বা সংস্কারের উদ্যোগ করা হবে।”
এখন আশ্বাসের বাস্তব রূপায়ণ কবে হবে সেটাই দেখার।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.