|
|
|
|
|
বড় ম্যাচ জিতে মরসুমে
প্রথম খেতাব মোহনবাগানের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
যুবভারতীতে পণ্ড ডার্বির ছায়া পড়ল না ক্রিকেটের বড় ম্যাচে। বুধবার নির্বিঘ্নেই হল জে সি মুখোপাধ্যায় ট্রফির ফাইনাল এবং ম্যাচের পর শেষ হাসি হাসলেন মোহনবাগানের ক্রিকেটাররা। স্বাভাবিক ভাবেই মরসুমের প্রথম ট্রফি জিতে খুশি তাঁরা। শেষ হাসি হাসলেও একেবারে নির্বিঘ্নে এল না এই জয়। মোহনবাগানকে সাফল্যের খেসারত দিতে হল লক্ষ্মীরতন শুক্লর আঙুলের চোটের মাধ্যমে।
থার্ড ম্যান অঞ্চলে ফিল্ডিং করছিলেন লক্ষ্মী। তীব্র গতিতে আসা একটি বল ঝাঁপিয়ে পড়ে ধরতে গিয়ে বাঁ হাতের আঙুলে চোট পান তিনি। পরে বোঝা যায়, আঙুলের হাড় সরে গিয়েছে। এই ঘটনাটা বাদ দিলে কলকাতার ক্লাব ক্রিকেটে টি টোয়েন্টি খেতাবজয় মোহনবাগানের পক্ষে বেশ মধুরই হল। ইস্টবেঙ্গলের তোলা ১৫৮ রানের লক্ষ্যে যখন পৌঁছল মোহনবাগান, তখনও আট বলের খেলা বাকি। শুভময় দাসের ৫৭ বলে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংসই মোহনবাগানকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়। শুভময়ের এই ইনিংসকে শেষ পর্যন্ত ভরসা জোগান দেবব্রত দাস। আইপিএলজয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই সদস্য ১০ বলে ১৮ রান তুলে অপরাজিত থাকেন। এই দু’জনের হাত ধরেই মরসুমের প্রথম খেতাব জয়ের স্বাদ পেল মোহনবাগান শিবির। |
|
দুই নায়ক। দেবব্রত ও শুভময়। বুধবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস। |
মোহনবাগান কোচ পলাশ নন্দী বলছিলেন, “লক্ষ্মীর চোটটা বেশ চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। আমরাও ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিকে একটু সমস্যায় পড়ে যাই। একটা সময় যখন আস্কিং রেট নয়ের ওপর চলে যায়, তখন চিন্তাটা আরও বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু শুভময় ও দেবব্রত যে ভাবে দলকে সেই পরিস্থিতি থেকে বের করে নিয়ে আসে, কোনও প্রশংসাই ওদের পক্ষে যথেষ্ট নয়।” শুভময় নিজে এভাবে দলকে জেতাতে পেরে খুব খুশি। বললেন, “ভাল ইনিংস খেলে দলকে জেতাতে পেরেছি, এটাই বড় কথা। এ ভাবে জিততেই ভাল লাগে।”
ইস্টবেঙ্গলের শুধু অরিন্দম দাসের ব্যাট থেকেই বড় রান আসে। ২৫ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। মোহনবাগানের অরিত্র চট্টোপাধ্যায় (৩-২৭), মহম্মদ সামির (২-১৬) দাপটে বাকিরা সবাই ফ্লপ। ইস্টবেঙ্গলের কোচ এবং পলাশবাবুর ভাই প্রণব নন্দী অবশ্য এই হারে খুব একটা হতাশ নন। বললেন, “মোহনবাগান আমাদের চেয়ে ভাল দল। তাই ওরা যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে।”
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ইস্টবেঙ্গল ১৫৮-৯ (অরিন্দম দাস ৪৪, অরিত্র চট্টোপাধ্যায় ৩-২৭, মহম্মদ সামি ২-১৬),
মোহনবাগান ১৫৯-৩ (শুভময় দাস ৮৭ নআ) |
|
|
|
|
|