|
|
|
|
গোলে ফিরলেন টোলগে, বাগান মূলপর্বে |
তানিয়া রায় • কল্যাণী |
মোহনবাগান ৪ (নির্মল, রাকেশ, স্ট্যানলি, টোলগে)
পুলিশ এসি ০ |
ওডাফা ওকোলি নেই। তাতে কী? টোলগে ওজবে যে আবার পুরানো মেজাজে। অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার আবার গোলের মধ্যে।
আই লিগে আর খেলা হবে কি না তা নিয়ে তীব্র ধোঁয়াশা মোহনবাগান জুড়ে। কলকাতা লিগকেই তাই পাখির চোখ করেছেন করিম বেঞ্চারিফা। আর সেখানেই প্রায় তিন মাস পর সদস্য-সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে টোলগে-ঝলক। ডান পায়ের জোরাল শটে গোল।
দু’কোটি নিয়ে বাগানে এসেছিলেন ফুল ফোটাতে। কিন্তু চোট-আঘাতে কিছুই করতে পারেননি এখনও। শেষ গোল করেছিলেন ১৫ সেপ্টেম্বর এক পুলিশপশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে। ফের গোলে ফিরলেন আর এক পুলিশপুলিশ এ সি-র জাল ছিঁড়ে। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে। গোল করে এসে উচ্ছ্বসিত টোলগের প্রতিক্রিয়া ছিল দেখার মতো। বলে দিলেন, “বহু দিন বাদে পুরো নব্বই মিনিট খেললাম। গোলও পেয়েছি। পুরনো আত্মবিশ্বাসটা যেন ফিরে পাচ্ছি।”
বুধবার শুরু থেকেই কল্যাণী স্টেডিয়াম ছিল টোলগে-ময়। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৩-০। টোলগে বাকি আক্ষেপটুকুও মিটিয়ে দিলেন গোল করে। গোলের পর প্রায় হারিয়ে যাওয়া মোহন-স্ট্রাইকারের গলায় তাই আবেগ “চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পরও সমর্থকরা যেভাবে আমার পাশে থেকেছে তাতে আমি কৃতজ্ঞ। গোলটা আমি সমর্থকদেরই উৎসর্গ করলাম।” |
|
গোলের পথে টোলগে। বুধবার কল্যাণীতে। ছবি: বিতান ভট্টাচার্য। |
পুরো নব্বই মিনিট খেললেও টোলগেকে কিন্তু কখনও পুরো ফিট মনে হয়নি। বরং বল ধরা-ছাড়ার সময় তাঁকে আগের টোলগে মনে হচ্ছিল না। মোহন-কোচ করিম বেঞ্চারিফাও বললেন, “টোলগে এখনও পুরো সময় খেলার অবস্থায় নেই। আমার কোনও উপায়ও ছিল না বলে ওকে মাঠে রেখেছিলাম।”
বহুদিন পর ম্যাচ খেলতে নেমেছিল শিশির ঘোষের পুলিশ। যেভাবে তাঁরা লিগটা শুরু করেছিল এখন তার কিছুই অবশিষ্ট নেই। খুবই বিশ্রী খেলল টিমটা। বিশেষ করে প্রথমার্ধে। আর সেই সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগাল নিয়মিত অনুশীলনে থাকা নির্মল, রাকেশ স্ট্যানলিরা। বিরতির পর অবশ্য পাল্টা আক্রমণে মোহন রক্ষণকে বেশ কয়েকবার বিপদে ফেলেছিল পুলিশ। চার্লসরা বেশ কিছু সহজ সুযোগও পেয়ে গিয়েছিলেন ওই সময়। মোহন-কিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য দু’টি দুর্দান্ত শট না রুখলে স্কোর লাইনটা অন্যরকম হতেই পারত!
বড় ব্যবধানে জয় পেয়ে কলকাতা লিগের মূল পর্বে পৌঁছে গেল বাগান। তা সত্ত্বেও অবশ্য জয়ের আনন্দে ভেসে যেতে পারছিলেন না নির্মল, স্ট্যানলিরা। কারণ, আই লিগের ডার্বি ম্যাচ নিয়ে ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত যে এখনও ঝুলে। দলকে উৎসাহ দিতে কল্যাণীতে এসে ডার্বি ম্যাচে আহত নবি তো বলেই ফেললেন, “গোলপোস্ট ছাড়া কি আর ফুটবল খেলা হয়! আই লিগ না খেলতে পারাটাও তো খানিকটা এরকমই। নির্বাসিত হলে আমরা আর মোটিভেশন পাব কোথা থেকে?” নবির সুর ছিল গোটা মোহনবাগান তাঁবু জুড়েই।
মোহনবাগান: অরিন্দম, নির্মল, খেলেম্বা, মেহেরাজ, স্নেহাশিস, জুয়েল, মণীশ ভার্গব (বিজেন্দ্র), রাকেশ, ডেনসন (মণীশ মৈথানি), স্ট্যানলি (দীপেন্দু), টোলগে। |
|
|
|
|
|