|
|
|
|
|
মোহনবাগান ম্যাচ স্থগিত |
ডার্বির ‘ফল’ আজ ঘোষণা
করতে পারে ফেডারেশন
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
ভেস্তে যাওয়া ডার্বি ম্যাচের জের। পৈলান আ্যারোজ, সিকিম ইউনাইটেডের পর এ বার চার্চিল ব্রাদার্সের ম্যাচও স্থগিত করে দিল ফেডারেশন।
আই লিগ সূচিতে মোহনবাগান বনাম চার্চিলের ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল শনিবার, মারগাওতে। আই লিগের সি ই ও সুনন্দ ধর বুধবার দিল্লি থেকে ফোনে বলে দিলেন, “ডার্বি ম্যাচের বিষয়টি যে-হেতু এখনও বিচারাধীন সে জন্যই শনিবারের ম্যাচ স্থগিত রাখতে হয়েছে। চিঠিও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে দুটি ক্লাবকে।” মোহনবাগান কোচ করিম বেঞ্চারিফা এবং চার্চিল কোচ সুভাষ ভৌমিক অবশ্য রাত পর্যন্ত জানতে পারেননি খেলা হবে কি না! কল্যাণীতে জিতে ওঠার পর করিম বললেন, “আমরা খেলার জন্য তৈরি।” আর গোয়া থেকে ফোনে সুভাষ ভৌমিক বললেন, “ক্রিসমাসের জন্য আমাদের অনুশীলন বন্ধ ছিল। তবে খেলা হবে কি না আজ জানতে পারলে সুবিধা হত।”
কিন্তু করিমের টিম কি স্থগিত হয়ে যাওয়া তিনটি ম্যাচ-সহ আই লিগের বাকি ম্যাচগুলি খেলার আদৌ সুযোগ পাবে? সেটা আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সম্ভবত জানা যাবে। বুধবার রাত পর্যন্ত যা খবর, তাতে আজ-ই ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল ৯ ডিসেম্বরের ম্যাচের ‘ফল’ ঘোষণা করে দিতে পারেন।
তবে ওই ম্যাচ নিয়ে ‘পরামর্শ’ দেওয়ার জন্য ফেডারেশন অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক সদস্যের যে কমিশন গঠন করেছে তারা রিপোর্ট জমা দিয়েছেন কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। দিল্লিতে একটি টিভি চ্যানেলে ‘দিল্লির ধর্ষণকাণ্ড’ নিয়ে মতামত দিতে যাওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোকবাবু নাকি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্টের কাছে। ফেডারেশন কর্তারা অবশ্য তা অস্বীকার করেছেন। দিল্লি থেকে ফোনে একাধিক কর্তা দাবি করলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে অশোকবাবু তাঁর মতামত জানাবেন। এর পরই সিদ্ধান্ত জানাবেন ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট।” অন্য একটি সূত্র অবশ্য জানাচ্ছে, বুধবার রাতে রিপোর্ট নিয়ে অশোকবাবুর সঙ্গে প্রফুল্ল পটেলের বৈঠক হয়েছে। শাস্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে আইনি আলোচনাও হয়েছে।
কিন্তু ডার্বি ম্যাচে দল তুলে নেওয়ার জন্য মোহনবাগান শাস্তি পাবে, না ম্যাচ রিপ্লে দেওয়া হবে তা নিয়ে নানা রকম মতামত উঠে আসছে। মোহনবাগান শিবিরে শোনা যাচ্ছে, তাদের দাবি মতো ম্যাচ রিপ্লে না দিলেও, দু’বছর নির্বাসনের কোনও সম্ভাবনা নেই। তাদের আশা পয়েন্ট কেটে নিয়ে বড় রকমের জরিমানা করবে ফেডারেশন। ফেডারেশন কর্তারা অবশ্য মোহন-তত্ত্ব মানছেন না। তাদের বক্তব্য, আই লিগের যা নিয়ম তাতে দু’টি পথ খোলা আছে।
এক) মোহনবাগানকে নির্বাসনে পাঠানো।
দুই) ডার্বি ম্যাচের সংগঠক ইস্টবেঙ্গলকে দোষী সাব্যস্ত করে ম্যাচে রিপ্লে দেওয়া। এই দুটি সিদ্ধান্তের মধ্যে যাই নেওয়া হোক, তা নিয়ে ফের বিভিন্ন স্তরে আবেদন হবেই। ঝামেলা গড়াতে পারে আদালত পর্যন্তও। সে রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সব পক্ষই। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আই লিগের অন্য ক্লাবগুলির কথাও ভাবাচ্ছে ফেডারেশনকে। |
|
|
|
|
|