|
|
|
|
রঞ্জি ট্রফি |
লক্ষ্মীর চোটে ফের নেতাহারা বাংলা, দলে এলেন শিবশঙ্কর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রঞ্জি ট্রফির শেষ ম্যাচ শনিবার থেকে। বিপক্ষে রেলওয়েজ। তার আগেই বাংলা দলে ফের ধাক্কা। আঙুলে চোট পেলেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল।
মনোজ তিওয়ারি তো আগেই চোট পেয়ে দলের বাইরে। এ বার আর এক অধিনায়ককেও হারাল বাংলা। বুধবার জে সি মুখোপাধ্যায় ট্রফির ফাইনালে ফিল্ডিং করতে গিয়ে এই চোট পেলেন তিনি। দুই থেকে তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে। অর্থাৎ রঞ্জির শেষ ম্যাচে খেলা হচ্ছে না তাঁর। বাংলার নির্বাচকরা তাঁর জায়গায় বেছে নিলেন তিন বছর আগে শেষ রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলা মিডিয়াম পেসার শিবশঙ্কর পালকে। রেলওয়েজের বিরুদ্ধে রঞ্জির শেষ ম্যাচে বাংলাকে নেতৃত্ব দেবেন ঋদ্ধিমান সাহা। |
|
আহত লক্ষ্মী। বুধবার। -নিজস্ব চিত্র |
ক্লাব ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের জন্যই শিবশঙ্করকে এই ম্যাচে দলে ডেকে নেওয়া হল। তা ছাড়া সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে সবুজ উইকেটে দলে অন্তত তিন জন পেস বোলার প্রয়োজন। সেই জন্যই তাঁর ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ল। শিবশঙ্করের মতো সিনিয়রকে যেমন দলে জায়গা দেওয়া হয়েছে, তেমন অলোক প্রতাপ সিংহর মতো তরুণ পেস বোলারকেও ডেকে নেওয়া হয়েছে বাংলা দলে। শেষ ম্যাচের আগে বাংলা দলে এই জোড়া পরিবর্তন। সামির জায়গায় অলোক প্রতাপকে বুধবার দল বাছতে বসে শিবশঙ্কর ছাড়াও একলাখ আহমেদ, রবিকান্ত সিংহদের নাম উঠে এসেছিল আলোচনায়। কিন্তু সম্প্রতি ক্লাব ক্রিকেটে তিনটি ম্যাচে ১৭ উইকেট পাওয়া শিবশঙ্কর পালকেই এঁদের চেয়ে এগিয়ে রাখা হয়।
সাত ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে বাংলা আপাতত গ্রুপ এ-র লিগ তালিকায় সাত নম্বরে। নয় দলের গ্রুপে তাদের নীচে রয়েছে হায়দরাবাদ (৯) ও রাজস্থান (৮)। এই শেষ দুই দলের মধ্যে খেলা বাকি, যা হবে শনিবার থেকেই। যা পরিস্থিতি তাতে বাংলার একেবারে লিগ তালিকার নীচে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, মধ্যপ্রদেশ বা রাজস্থান, কোনও এক দল যদি সরাসরি বা বোনাস পয়েন্ট নিয়ে জেতে এবং বাংলা রেলওয়েজের কাছ থেকে কোনও পয়েন্ট না নিতে পারে, সে ক্ষেত্রে ওই ম্যাচের জয়ী দল বাংলাকে টপকে যাবে। ফলে বাংলা নেমে যাবে আটে এবং তারা পরের বছর গ্রুপ বি-তে চলে যাবে। আক্ষরিক অর্থে এটা অবনমন না হলেও প্রায় তারই সমান। কিন্তু ম্যাচটা জিততে পারলে নিজেদের কিছুটা ওপরে তোলার সুযোগ থাকছে। সেই জন্যই বাংলার এই ম্যাচে জেতা দরকার। সামি, দিন্দাদের উনপস্থিতিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠের সবুজ উইকেট থেকে যাতে কিছু পয়েন্ট অর্জন করতে পারে বাংলা, সেই জন্য দলে চার পেসার রাখা হল। শিবশঙ্কর, বীরপ্রতাপ, অলোক প্রতাপ ও সায়নশেখর মণ্ডল। দু’জন স্পিনারও অবশ্য রয়েছেন দলে ইরেশ সাক্সেনা ও অরিত্র চট্টোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত হয়তো তিন সিমারেই খেলতে দেখা যাবে বাংলাকে। |
|
|
|
|
|